1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শব্দের গতিকে পেছনে ফেলেছেন বাউমগার্টনার

১৫ অক্টোবর ২০১২

হাই জাম্প, লং জাম্প, বানজি জাম্প৷ দুনিয়াতে কত রকম জাম্পই না আছে৷ তবে এটা হলো স্পেস জাম্প, মানে মহাশূন্য থেকে লাফ দিয়ে পৃথিবীর বুকে ফেরত আসা৷ আর সেটা করতে গিয়ে শব্দের গতিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন ফেলিক্স বাউমগার্টনার৷

https://p.dw.com/p/16Q7b
বেলুনের ক্যাপসুল থেকে লাফ দেওয়ার পর ঠিক চার মিনিট ২০ সেকেন্ডের মাথায় লাল-সাদা প্যারাশুটটি সহ মাটির বুকে আবারও পা রাখেন বাউমগার্টনার৷
ছবি: AP

গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রুদ্ধশ্বাসে তাকিয়ে ছিলো তাদের কম্পিউটারের মনিটর আর টিভি পর্দার দিকে৷ বেলুনের ক্যাপসুল থেকে লাফ দেওয়ার পর ঠিক চার মিনিট ২০ সেকেন্ডের মাথায় লাল-সাদা প্যারাশুটটি সহ মাটির বুকে আবারও পা রাখেন বাউমগার্টনার৷ ভূপৃষ্ঠ থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৯৭ ফুট, মানে ৩৯ হাজার ৪৪ মিটার ওপর থেকে লাফ দেন এই অস্ট্রিয়ান৷ মহাশূন্যের সেই অসীম বুক থেকে লাফ দিয়ে ভূপৃষ্ঠের দিকে প্রচণ্ড গতিতে পতিত হচ্ছিলেন তিনি৷ সেই গতি বাড়তে বাড়তে উঠে যান ঘণ্টায় ৮৩৩.৯ মাইল বা ১,৩৪২ কিলোমিটার৷ মানে শব্দের চেয়ে প্রায় সোয়াগুণ গতি বেশি নিয়ে ধরণী পৃষ্ঠে পড়ছিলেন দুঃসাহসী বাউমগার্টনার৷

Red Bull Stratos - Felix Baumgartner
ফেলিক্স বাউমগার্টনারছবি: AP

সোমবার জানা গেছে, একসঙ্গে তিনটি রেকর্ড গড়েছেন এই স্কাইডাইভার৷ সবচেয়ে উঁচু থেকে লাফ, সবচেয়ে দ্রুত গতিতে পতন এবং সবচেয়ে উঁচুতে বেলুন নিয়ে যাওয়া৷ এই সাফল্য অর্জনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে বাউমগার্টেন বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে কাঁধ থেকে ২০ টন ওজন কমে গেল৷ গত সাত বছর ধরে আমি এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি৷''

যখন প্রচণ্ড গতিতে পড়ছিলেন বাউমগার্টনার, তখন মনে হচ্ছিলো তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন৷ সেসময় কেমন মনে হচ্ছিলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘লাফটা ঠিকমতই হয়েছিলো৷ এরপর আমি ডিগবাজি খেতে শুরু করলাম৷ প্রথমে মনে হয়েছিলো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবো, কিন্তু এরপর ভয়াবহ গতিতে আমি পড়তে শুরু করলাম৷ এত প্রচণ্ড গতি যে আমার মনে হচ্ছিলো আমি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবো৷ তবে ভাগ্য ভালো শেষ পর্যন্ত আমি সংজ্ঞা হারাইনি৷ তবে যা মনে হয়েছিলো তার চেয়ে কঠিন ছিলো এটি৷'' শব্দের গতির চেয়েও বেশি গতিতে নামার সময় অবশ্য তিনি টের পাননি৷ ‘‘সনিক বুম'টি আমি টের পাইনি, সম্ভবত এটা আমার পেছনে ঘটেছে'', বলেন, বাউমগার্টেন৷

নির্ধারিত উচ্চতার যাওয়ার জন্য হিলিয়াম ভর্তি বেলুনটির সময় লাগে দুই ঘণ্টা৷ বেলুনটিও ছিলো বিশাল আকারের, ৬০০ ফুট উঁচু, অথচ পলিথিনের মত পাতলা৷ এক লাখ বিশ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বাউমগার্টনার আরও আট হাজার ফুট বেশি উঁচুতে নিয়ে যান বেলুনটিকে৷ সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে বাউমগার্টনার বলেন, ‘‘এত উঁচুতে ওঠার পর মনে হয় আমরা আসলেই কত ছোট৷''

উল্লেখ্য, বাউমগার্টনারের এই স্কাই ডাইভ টেলিভিশন ছাড়াও ইউটিউবে লাইভ সম্প্রচার করা হয়৷ ৮০ লাখেরও বেশি কম্পিউটারে ইউটিউবে দেখা হয় এটি৷ এর আগে ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জো কিটিঙ্গার ১,০২,৮০০ ফুট ওপর থেকে লাফ দিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন৷

আরআই/এসবি ( এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য