1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লোকসভা থেকে সাসপেন্ড অধীর চৌধুরী

১১ আগস্ট ২০২৩

কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হলো। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4V1YH
প্রিভিলেজ কমিটি এখন তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ছবি: Syamantak Ghosh/DW

বহরমপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন এবং মন্ত্রীদের বলার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছিলেন।

অধীরের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেন সংসদীয়মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি বলেন, ''অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভায় ইচ্ছে করে এবং বারবার অসদাচরণ করছেন, স্পিকারের অধিকারকে মানছেন না। তার এই আচরণ নিয়ে প্রিভিলেজ কমিটি বিচার করুক। তারা তদন্ত করে যতদিন রিপোর্ট না দিচ্ছেন, ততদিন অধীরকে সাসপেন্ড করা হোক।''

এই প্রস্তাব ধ্বনিভোটে গৃহীত হয়। তখন কংগ্রেসের কোনো সাংসদ লোকসভায় ছিলেন না। তারা আগেই ওয়াকআউট করেছিলেন।

পরে অধীর জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেননি। অধীর বলেছেন, ''আমি কারো মনে দুঃখ দিতে চাইনি। মণিপুর নিয়ে মোদীজি 'নীরব' ছিলেন। 'নীরব' মানে কোনো কথা বলেননি। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।''

অধীর জানিয়েছেন, ''প্রধানমন্ত্রীও মনে করেননি, আমি তাকে অপমান করছি। তার দরবারিরা এরকম মনে করেছে এবং আমার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে। আমি জেনেছি, প্রিভিলেজ কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত আমায় সাসপেন্ড করা হয়েছে।''

অধীর বলেছেন, ''শুধু প্রহ্লাদ জোশী নয়,বিজেপি-র সব নেতা মিলে যদি আমার একটা শব্দ, একটা ব্যাখ্যাকে ভুল প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি কোনো অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করিনি। মোদীজি মণিপুর নিয়ে চুপ থাকার জন্য আমি 'নীরব' ও 'অন্ধ্র ধৃতরাষ্ট্র' উপমা ব্যবহার করেছি।'' তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ''অন্যায় করা হয়েছে অধীরের সঙ্গে।''

অনাস্থা নিয়ে বিতর্কে বলতে উঠেই মোদী অধীরের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, ''এখানে এমন সব ঘটছে, তা আগে শুনিনি বা দেখিনি। সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের নেতার নাম বক্তার তালিকায় নেই। আমি জানি না, কলকাতা থেকে কোনো ফোন এসেছিল কি না।''

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''বারবার অধীরবাবুকে অপমান করেছে কংগ্রেস। কখনো নির্বাচনের কথা বলে তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। আবার ফেরানো হয়।''

কংগ্রেস জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। কংগ্রেসের চিফ হুইপ মানিক ঠাকুর বলেছেন, ''এই প্রথমবার মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য বিরোধী নেতাকে সাসপেন্ড করা হলো। এটা অবিশ্বাস্য, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত।'' 

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)