1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লোকপাল বিল তৈরিতে যৌথ খসড়া কমিটির বৈঠক

১৫ জুন ২০১১

দুর্নীতি বিরোধী লোকপাল বিল তৈরিতে সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের যৌথ খসড়া কমিটির বৈঠক আজ শুরু হয় নতুনদিল্লিতে৷ বিলের বিভিন্ন সংস্থান নিয়ে প্রতিনিধিদের মধ্যে চাপানউতোর তুঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/11aeV
epa02670916 Indian veteran social activist Anna Hazare (center in white dress) participates in a hunger strike in New Delhi, India on 05 March 2011. According to the media reports Hazare along with supporters protestors demanded for a stronger anti-graft Lokpal (Administrator) Bill through greater involvement of civil society in its formulation. The Jan Lokpal (Administrator) Bill calls for setting up ombudsmen - Lokpal and Lokayuktas (in states) - independent of the government's control in order to check corruption in public life. EPA/ANINDITO MUKHERJEE +++(c) dpa - Bildfunk+++
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্না হাজারের প্রতিবাদ সবার নজর কেড়েছেছবি: picture alliance/dpa

দুর্নীতি রোধে কড়া আইন প্রণয়নে ভারতের সংসদে যে লোকপাল বিল আনার কথা, তার বিভিন্ন সংস্থান তৈরিতে সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত যৌথ খসড়া কমিটির বৈঠক আজ আবার শুরু হয়েছে৷এই বিলের বিভিন্ন ধারা নিয়ে ঘরে বাইরে চলেছে তুমুল বিতর্ক৷ স্বার্থের সংঘাত দেখা দিচ্ছে রাজনৈতিক শক্তি ও নাগরিক সমাজের মধ্যে৷ নাগরিক সমাজের বক্তব্য শেষ কথা হতে পারেনা এমনটাই বলা হচ্ছে সরকার পক্ষ থেকে৷ সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জায়গা তাঁরা নিতে পারেন না৷

সরকার ও আন্না হাজারের নেতৃত্বাধীন নাগরিক সমাজের মধ্যে মতান্তরের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো, দুর্নীতি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী এবং উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের এই বিলের আওতায় আনতে চাইছে নাগরিক সমাজ৷ আন্না হাজারে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিলের আওতায় এলে সেটা হবে এক দৃষ্টান্ত৷ নাএলেই লোকের মনে সন্দেহের উদ্রেক হবে৷

সরকার পক্ষ তা মানতে রাজি নয়৷ তাদের মতে এতে প্রধানমন্ত্রীর পদকে খাটো করা হবে৷ প্রধানমন্ত্রীকে সবসময় চাপ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করতে হবে৷ সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো হয়ে পড়বে দুর্বল৷ রাজনৈতিক দলগুলির কোন কোন মহল মনে করেন, সেক্ষেত্রে মাঝামাঝি যে সমাধান হতে পারে, তা হলো প্রধানমন্ত্রীকে যদি বিলের আওতায় আনতে হয় তাহলে তাঁর জন্য বিশেষ রক্ষাকবচ থাকা দরকার৷ লোকপাল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রাথমিক তদন্ত করতে পারবেন, চূড়ান্ত রায় দিতে পারবেন না৷

শুধু তাই নয়, মন্ত্রী, সাংসদও আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের ক্ষমতা থাকা উচিত লোকপালের৷ বর্তমানে কোন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য দরকার প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি এবং সাংসদদের জন্য লোকসভা বা রাজ্যসভার অধ্যক্ষের৷ নাগরিক সমাজের কো-চেয়ারম্যান আইনজীবী শান্তিভূষণ এইসব ইস্যুর সম্ভাব্য সমাধানে সরকারকে প্রথমে তার অবস্থান খোলসা করতে বলেন৷

নাগরিক সমাজের দাবি, যৌথ খসড়া কমিটির বৈঠক সরাসরি টেলিভিশনে দেখানো হোক৷ তাহলে আমজনতা জানতে পারবেন কোন পক্ষ কী বলছেন৷ তাতেও সরকারের আপত্তি৷ সেটা করা হলে বৈঠক নাকি পরিণত হবে সার্কাসে৷ মোটকথা উভয়পক্ষ নিজেদের অবস্থানে অবিচল থাকায় কার্যত অচলাবস্থা অব্যাহত৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক