লিবিয়ায় দুই মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সংঘর্ষ
১৬ আগস্ট ২০২৩সোমবার রাতে সহিংসতা শুরু হয়। মঙ্গলবারেও তা চলে। ত্রিপোলির বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। চলতি বছরে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ।
এই সংঘর্ষের ফলে কতজন হতাহত হয়েছেন তা স্পষ্ট হয়নি।
সর্বশেষ খবর
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি মেডিক্যাল ইউনিট জানিয়েছে, তারা তিনটি জেলা থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মুখপাত্র উসামা আলি বলেছেন, একটি জেলা থেকে ২৬টি পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জন আহত মানুষও আছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রিপোলিতে প্রচুর মানুষ তাদের বাড়িতে আটকে পড়েছেন। মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, তারা যেন সংঘর্ষের জায়গাগুলিতে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে দেন এবং আহতদের বাইরে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ করে দেন।
তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। ৪৪৪ ব্রিগেড কম্যান্ডার মাহমুদ হামজাকে স্পেশাল ডেটারেন্স ফোর্স মুক্তি দেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। এই দুই গোষ্ঠীই লিবিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র সংগঠন।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামজাকে তৃতীয় কোনো গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
কেন এই সহিংসতা?
স্থনীয় মিডিয়া জানিয়েছে, স্পেশ্যাল ডেটারেন্স ফোর্স ও ৪৪৪ ব্রিগেডের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৪৪৪ ব্রিগেডকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমর্থন করে। আর ত্রিপোলির বিমানবন্দরের এলাকা স্পেশ্যাল ডেটারেন্স ফোর্সের দখলে।
সোমবার হামজা যখন বিমানবন্দরে তখন স্পেশাল ডেটারেন্স ফোর্স তাকে আটক করে। সংঘর্ষ শুরু হয়।
রয়টার্সের সাংবাদিক জানিয়েছেন, ''সমানে গোলাগুলির আওয়াজ আসছিল। ত্রিপোলির বিবিন্ন জায়গা থেকে কালো ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। এরপর বিমানগুলি অন্যত্র ঘুরিয়ে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়।''
২০১১ সালে গদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যূত করার পর থেকে লিবিয়ায় সংঘর্ষ লেগেই থাকে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)