1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় জটিলতর সংকট, রাজনৈতিক সমাধানের খোঁজে বিশ্ব সম্প্রদায়

১৯ জুন ২০১১

লিবিয়ার রাজনৈতিক সংকট কাটাতে সামরিক পন্থার বদলে এবার রাজনৈতিক সমাধানের ডাক দিল আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী৷ লিবিয়ায় অভিযান নিয়ে নানামুখী চাপে বারাক ওবামা প্রশাসন৷ এদিকে, ভুল করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উপর হামলার কথা স্বীকার করল ন্যাটো৷

https://p.dw.com/p/11exa
In this image taken from video on Sunday, June 12, 2011, provided by FIDE President Kirsan Ilyumzhinov's press service, Libyan leader Moammar Gadhafi, next to visiting president of the World Chess Federation Kirsan Ilyumzhinov, not in photo, before a game of chess in Tripoli, the capital of Libya. As the world awaits Moammar Gadhafi's next move, the Libyan leader has been playing chess with the visiting Russian head of the World Chess Federation. The federation is headed by the eccentric Kirsan Ilyumzhinov, who until last year was the leader of Russia's predominantly Buddhist republic of Kalmykia. He once claimed to have visited an alien spaceship. (Foto:FIDE Press service/AP/dapd) EDITORIAL USE ONLY
ছবি: AP

লিবিয়ার সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নতুন ভাবনা

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা লিবিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন মিশরের রাজধানী কায়রোয়৷ ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশ্টন, আরব লিগের বিদায়ী প্রধান আমর মুসা এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রধান জ্যাঁ পিং হাজির ছিলেন বৈঠকে৷ এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আলোচনায় যোগ দেন৷ বৈঠক শেষে আরবি ভাষায় প্রকাশিত বিবৃতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক সমাধান সূত্রের উপর৷ এতে বলা হয়েছে, লিবিয়ার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিতে হবে৷ বৈঠকের পর অ্যাশ্টন সাংবাদিকদের বলেন, লিবিয়ার জনগণ যেন তাদের পছন্দ মতো নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে সেজন্য তাদের প্রতি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷

প্রশ্নের মুখে ন্যাটোর সামরিক অভিযান

এদিকে, লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর হামলা ও নির্যাতন থেকে লিবিয়ার সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে প্রায় তিন মাস ধরে সেখানে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী৷ তবে অভিযানে অংশ নেয়া কিছু মিত্র দেশ ইতিমধ্যে তাদের ক্লান্তির কথা প্রকাশ করেছে৷ অন্যদিকে, লিবিয়ায় সাফল্য পেতে বিলম্বের জন্য ইউরোপীয় মিত্রদের দায়ী করতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ এছাড়া লিবিয়ায় অভিযান নিয়ে স্বদেশেও নানামুখী চাপের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ‘নিউইয়র্ক টাইমস' এর খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন আইনজীবীরা লিবিয়ার পরিস্থিতিকে ‘যুদ্ধাবস্থা' উল্লেখ করে সেই অভিযানে মার্কিন সহযোগিতার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ অথচ প্রেসিডেন্ট ওবামা সেই পরামর্শ নাকচ করে দিয়েছেন৷ ফলে বিষয়টি নিয়ে আরো কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি৷

Aussenminister Guido Westerwelle (FDP) und Bundesentwicklungsminister Dirk Niebel (FDP, l.) verlassen am Montag (13.06.11) in Bengasi, Lybien, ein Militaerflugzeug der Bundeswehr, das auch mit Hilfsguetern beladen ist. Westerwelle und Niebel besuchten als erste deutsche Regierungsvertreter die Rebellenhochburg seit Beginn der Massenproteste gegen das Regime im Februar. Sie trafen in Bengasi Vertreter des Uebergangsrats. (zu dapd-Text) Foto: Hannibal Hanschke/dapd
বেনগাজি সফরে জার্মান নেতৃবৃন্দ (ফাইল ছবি)ছবি: dapd

বিদ্রোহীদের উপর হামলার কথা স্বীকার

অন্যদিকে, দুই দিন আগে ব্রেগা শহরে বিদ্রোহী বাহিনীর উপর গোলা হামলার কথা স্বীকার করে সামরিক জোট ন্যাটো জানিয়েছে, এটা ভুল করে ঘটেছে৷ মূলত সরকারি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্য যুদ্ধ চলাকালে সরকারি বাহিনী মনে করেই সেখানে আকাশ থেকে বোমা ফেলেছিল ন্যাটো৷ তবে ঘটনা খতিয়ে দেখার পর তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ ঐ হামলায় হতাহতের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ন্যাটো৷ এছাড়া ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের এবং নিরীহ মানুষ হত্যার যে অভিযোগ তুলেছে গাদ্দাফি প্রশাসন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে ন্যাটো৷ লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাগদাদি আল-মাহমুদি একদিন আগে ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ তোলেন৷ তারই জবাবে ন্যাটো মুখপাত্র ওয়ানা লাঙ্গেস্কু এটিকে ‘নীতিগর্হিত' বলে প্রত্যাখ্যান করল৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান