1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিলিবিয়া

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ষাটের বেশি অভিবাসী

১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে লিবিয়ার বন্দি শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম৷ এই পথটি এখনও বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক অভিবাসী রুট হিসেবে রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি৷

https://p.dw.com/p/4aGN6
অনিয়মিত পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে প্রাণ যায় অনেকের৷
সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর রুটে চলতি বছর ২,২৫০ জন মানুষ মারা গেছেন (ফাইল ফটো)ছবি: Giacomo Zorzi/ Sea-Watch/REUTERS

লিবিয়ার উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে তীব্র স্রোতে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে৷ এতে প্রায় ৬১জন অভিবাসী পানিতে তলিয়ে গেছেন বলে শনিবার জানিয়েছে আইওএম৷

অভিবাসীদের বেশিরভাগ নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া ও  আফ্রিকার অন্যান্য দেশের বলে জানা গেছে৷ তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলের জুয়ারা থেকে ৮৬ জনকে নিয়ে নৌকাটি যাত্রা করে৷

আইওএম জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের তারা প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়েছে৷ তাদের সবাই সুস্থ আছেন৷

আড়াই হাজার অভিবাসীর মৃত্যু

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেয়া পোস্টে আইওএম লিখেছে, ‘‘সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর এখনও বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক অভিবাসী রুট৷'' চলতি বছর এই পথে বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে৷ এর মধ্যে কয়েকশত অভিবাসী নিয়ে জুনে লিবিয়া থেকে যাত্রা করা একটি মাছ ধরার নৌকা গ্রিসের কাছে ডুবে যায়৷ আইওএম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এতে ৭৮ জনের নিশ্চিত মৃত্যুর পাশাপাশি ৫১৮ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি৷

আইওএম এর মুখপাত্র ফ্লাভিও ডি গিয়াকোমো জানিয়েছেন, চলতি বছর সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর অভিবাসন রুটে দুই হাজার ২৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই সংখ্যাগুলো আমাদের দেখায় সমুদ্রে জীবন বাঁচাতে দুর্ভাগ্যবশত এখনও যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়নি৷''

উল্লেখ্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে উত্তর আফ্রিকাসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষ উন্নত জীবনের আশায় ইটালি হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷ মানবপাচারকারীদের সহায়তায় গভীর সমুদ্রে চলাচলের অনুপযোগী নৌকায় করে তারা ভূমধ্যসাগরে যাত্রা করেন৷ 

এফএস/এআই (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

ইউরোপমুখী অভিবাসীরা কেন মরছেন মরুভূমিতে?