1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাজ্য

লিনেকার ইস্যু বিবিসির নিরপেক্ষতা সংকট সামনে এনেছে

১৪ মার্চ ২০২৩

সরকারের সমালোচনা করায় সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ও বিবিসির ফুটবল শো ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে'র উপস্থাপক গ্যারি লিনেকারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ ঘটনাটি বিবিসির নিরপেক্ষতা সংকট সামনে নিয়ে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/4Odv5
গ্যারি লিনেকার
গ্যারি লিনেকারছবি: James Manning/PA/dpa/picture alliance

অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে নীতি প্রস্তাবের সময় সরকার নাৎসি আমলের কথাবার্তা ব্যবহার করছেন বলে টুইটারে লিখেছিলেন লিনেকার৷ এরপর শুক্রবার লিনেকারের বিরুদ্ধে বিবিসির নিরপেক্ষতা নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তাকে শনিবারের ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে' অনুষ্ঠান উপস্থাপনা থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে দেয়া হয়৷

বিবিসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ম্যাচ অফ দ্য ডে অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়মিত অংশ নেয়া ইংল্যান্ডের সাবেক দুই ফুটবলার ইয়ান রাইট ও অ্যালেন শিয়েরার শনিবারের শোতে অংশ না নেয়ার কথা জানান৷ এরপর একে একে আরও কয়েকজন উপস্থাপক ও ফুটবল বিশেষজ্ঞ বিবিসির খেলাধুলা বিষয়ক অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অপারগতা জানান৷

এসব কারণে ম্যাচ অফ দ্য ডে অনুষ্ঠানের সময় কমিয়ে মাত্র ২০ মিনিট করতে বাধ্য হয় বিবিসি৷ এছাড়া কোনো ধারাভাষ্য ও বিশ্লেষণ ছাড়াই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়৷

এই অবস্থায় লিনেকারের সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার তাকে আবারও অনুষ্ঠানে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ সেই সঙ্গে ২০২০ সাল থেকে বিবিসির কর্মীদের জন্য চালু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নীতিমালা আরও পর্যালোচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

বিবিসির সংবাদ বিভাগের বাইরের উপস্থাপকরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের নীতিমালা কড়াভাবে মেনে চলতে বাধ্য নন৷ লিনেকার বিবিসিতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন৷ বিভিন্ন সময়ে তিনি তার বাসায় শরণার্থীদের থাকতে দিয়েছন৷

লিনেকারের সমালোচকদের অভিযোগ, বিবিসি তাকে তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিতর্কিত রাজনৈতিক বিষয়ে প্রভাব রাখার সুযোগ করে দিচ্ছে৷

তবে লিনেকার সমর্থকেরা বিবিসির বিরুদ্ধে কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ এনেছেন৷ যেমন বিবিসির বর্তমান চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প এই পদে আবেদনের সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আট লাখ পাউন্ড ঋণ পেতে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ লিনেকার সমর্থকেরা মনে করছেন, কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে রিচার্ড শার্পের ঘনিষ্ঠতার কারণে সরকারের সমালোচনা করায় লিনেকারের বিরুদ্ধে বিবিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

বিবিসির বিরুদ্ধে অতীতেও পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে৷ ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট নির্বাচনের পর ব্রেক্সিট সমর্থকেরা অভিযোগ করেছিলেন, ইইউ থেকে বের হওয়ার প্রভাব সম্পর্কে বিবিসির প্রতিবেদনগুলোতে অসম দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছিল৷

আর ব্রেক্সিটবিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ভোটের আগে ‘লিভ' ক্যাম্পেনের ছড়ানো ভুয়া তথ্য চ্যালেঞ্জ করার যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি বিবিসি৷

লেবার পার্টির সমর্থকেরাও ২০১৭ সালে বিবিসির বিরুদ্ধে তাদের নেতা জেরেমি করবিনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছিলেন৷ সেই সময় লিনেকার এক টুইটে জেরেমি করবিনকে ‘বিন করবিন' বলে আখ্যায়িত করেছিলেন৷

জেডএইচ/কেএম (এএফপি)