1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিথুয়ানিয়ার ভেতর ‘স্বাধীন' দেশ উজুপিস

৩১ মে ২০২২

বাল্টিক দেশ লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়ুসের মধ্যে এক বর্গকিলোমিটারেরও ছোট আয়তনের ‘স্বাধীন' দেশ উজুপিস৷ সেখানে প্রায় সাত হাজার মানুষ বাস করেন৷

https://p.dw.com/p/4C5tc
Litauen | Statue Engel von Užupis in Vilnius
ছবি: picture alliance / Ian Trower/robertharding

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে উজুপিসে ইহুদিরা বাস করতেন৷ যুদ্ধের পর সেখানকার ফাঁকা ভবনগুলো পতিতালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত৷ ভাড়া কম হওয়ায় পরবর্তীতে সেখানে শিল্পীরা থাকা শুরু করেছিলেন৷

১৯৯৭ সালের এপ্রিল ফুলস ডে'তে স্থানীয় ফটোগ্রাফার সাউলিয়ুস পক্সটিস ও উজুপিসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা রোমান লিলাইকিস উজুপিসের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন৷ তারা বলেছিলেন, তারা এমন একটি জায়গা চান যেখানে মানুষ সামাজিক রীতিনীতির পরোয়া না করে নিজেদের মতো থাকতে পারবেন৷

উজুপিসের নিজস্ব প্রেসিডেন্ট ছাড়াও একটি সংবিধান (যা ৫০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে), মুদ্রা ও চার মৌসুমের জন্য চারটি জাতীয় পতাকা আছে৷

Litauen, Vilnius | Stadtteil Uzupis
ছবি: Heidi Fuller-Love/DW

শুরুতে লিথুয়ানিয়ার সরকার উজুপিসের স্বাধীনতা ঘোষণার প্রতি বিরূপ মনোভাব দেখালেও এখন মেনে নিয়েছে৷ বিদেশি কোনো সরকার উজুপিসকে স্বাধীন দেশ বলে স্বীকৃতি দেয়নি৷

একসময় ভাড়া কমের জন্য শিল্পীরা উজুপিসে গেলেও এখন ভিলনিয়ুসের দ্বিতীয় সবচেয়ে ব্যয়বহুল এলাকা হচ্ছে উজুপিস৷ কারণ সেখানে ডিজাইনার বুটিক শপ, ট্রেন্ডি ক্যাফে গড়ে উঠেছে৷ আরও আছে অদ্ভুত সব শিল্পকর্মে সমৃদ্ধ অলিগলি৷

এছাড়া বাল্টিক দেশগুলোর মধ্যে উজুপিসেই প্রথম আর্ট ইনকিউবেটর গড়ে তোলা হয়েছে৷ সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া শিল্পীরা সেখানে পরীক্ষামূলক শিল্পকর্ম নিয়ে কাজ করেন৷

উজুপিসে ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় এপ্রিল ফুলস ডে, যেদিন ‘স্বাধীনতা' ঘোষণা করা হয়েছিল৷ ঐ দিন সীমান্তে বিশেষ নিরাপত্তা প্রহরী থাকেন যারা দর্শনার্থীদের পাসপোর্টে সিল মেরে থাকেন৷ পানির ফোয়ারা থেকে বিয়ার পড়তে থাকে৷ এছাড়া ঐ সময় আর্ট ও সংগীতের বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজনও হয়ে থাকে৷

হাইডি ফুলার-লাভ/জেডএইচ