1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘লাঠি নিয়ে আসলে জবাব লাঠি দিয়েই দেয়া হবে'

২৭ মে ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ‘‘সংঘর্ষে'' লাঠি, রড, চাপাতির ব্যবহার দেখা যায়৷ ছাত্রদলের দাবি, ছাত্রলীগ তাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে, তবে ছাত্রলীগের দাবি, তারা আত্মরক্ষা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/4ByN1
ছবি: DW

ডয়চে ভেলের নিয়মিত টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' এর এবারের পর্বে আলোচনার বিষয় ছিল ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি ছাত্রলীগের একচেটিয়া দখলে?' অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘‘লাঠিসোটা, হকিস্টিক কিন্তু ছাত্রদল, ছাত্রলীগ সবার কাছে ছিল৷ এবং এখানে টিট ফর ট্যাট, ডগ ফর ক্যাট (ঢিল মারলে পাটকেল খেতে হবে)৷ ফুল নিয়ে আসলে ফুল পাবে, লাঠি নিয়ে আসলে জবাব লাঠিতেই দেয়া হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এই পরিবেশ না চাইলেও অনেকদিন ধরে চলে আসছে৷'' ছাত্রদল আন্দোলন নয়, ক্যাম্পাসে লাশ চায় বলেও অভিযোগ করেন রাব্বানী৷

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন এক পর্যায়ে জানতে চান, দেশে পুলিশ, আইন-আদালত থাকতে ছাত্রলীগ ফৌজদারি দায়িত্ব কিভাবে হাতে নেয়? ছাত্রদলের ‘পুলিশ ছাড়া আসেন' হুমকিকে ‘উসকানি' উল্লেখ করে রাব্বানী বলেন, ‘‘আত্মরক্ষার অধিকার সবার রয়েছে৷ আপনি ঢিল মারবেন, লাঠি দিয়ে পেটাবেন আর আমরা বলবো থ্যাক ইউ, এটা তো হতে পারে না৷ এমন কালচার ডেভেলপ করে নাই এই দেশে৷''

ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সভা-সমাবেশ থেকে ‘৭৫ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার' বলার৷ কিন্তু টক শো এর আরেকজন অতিথি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এমন স্লোগান তারা কখনও সমর্থন করেন না৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করি না৷''

ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন সবসময়ই অন্য সংগঠনগুলোকে দমন পীড়ন করতো কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘২০০৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগকে কখনই কোনোভাবে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়নি৷ বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সহাবস্থানের রাজনীতি চালু করেছিল৷ ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, এমন কোনো নজির নেই৷''

ডাকসুর নির্বাচনে নুরুল হক নূরের ভিপি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে রাব্বানী বলেন, ‘‘নূর আমাদের কর্মীরও কর্মী ছিল৷ একটা উপসম্পাদক থেকে ওকে পাঠানো হয়েছিল কোটা আন্দোলনের সময় যাতে টিকটিকিকে কেউ কুমির বানিয়ে যাতে ছাত্রলীগের সম্মেলন পেছানো যায়৷ ওই সময় নেতৃত্ব তাকে পুশ করেছিল ওখানে যেতে৷ চালাক ছেলে, স্মার্ট ছেলে নুর৷ ওই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় নেতা হয়ে গেছে৷ নূর ছাত্রলীগেরই ওই সময়ের যারা একটু ব্যাক সাইড থেকে খেলেছে, তাদের সৃষ্টি, ঠিক যেভাবে ইমরান এইচ সরকারে শাহবাগে পাঠানো হয়েছিল৷''

এডিকে/এআই