লন্ডনে নাদালকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলেন ফেদারার
২৯ নভেম্বর ২০১০বছর শেষে ফেদারারই সেরা
বারবার পাঁচবার৷ বছরের শেষ টুর্নামেন্ট জিতে নেওয়া হয়ে গেল ফেদারারের৷ সেইসঙ্গে এটাও বোঝা গেল যে ২০১১ সালেও সমান তালে তাল রেখে নাদালকে চিন্তায় ফেলবেন তিনি৷ এই মুহূর্তে নাদাল ব়্যাঙ্কিং-এ এক নম্বরে৷ ফেদারার দুই-এ৷ কিন্তু সেই এক নম্বর জায়গাটার জন্য ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলবেন রজার ফেদারার৷
খেলাটা কেমন হল লন্ডনে
লন্ডন খেতাবের ফাইনাল খেলাটা হয়েছে রবিবার ঠাসা স্টেডিয়ামে৷ ও টু অ্যারিনায় টানা এক ঘন্টা ৩৭ মিনিটের খেলার ফলাফল শেষ পর্যন্ত ফেদারারের পক্ষে ৬-৩, ৩-৬, ৬-১৷ মানে প্রথম সেটটা জিতেছেন, দ্বিতীয়টা একই ব্যবধানে হেরেছেন৷ আর তিন নম্বর সেট-এ পৌঁছে নাদালকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছেন সুইস ফেদারার৷ এটিপি ওয়ার্ল্ড টুরের এই গ্ল্যামারাস ম্যাচের ফাইনাল নিয়ে এমনিতেই আগ্রহ ছিল৷ কারণ বিশ্বের এক আর দুই নম্বর এখানে মুখোমুখি৷ তার মানেই একটা শ্বাসরোধ করা খেলা৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসে ম্যাচটা সেই টানটান ভাব হারিয়ে ফেলে৷ তখন বোঝাই যাচ্ছিল, লড়াইতে ফিরে এসেও কেমন যেন পিছিয়ে যাচ্ছেন তুলনায় তরুণতর নাদাল৷
নাদাল কেন দম হারালেন
শনিবারেই এই টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনালটা খেলেছেন নাদাল৷ প্রতিপক্ষ ছিলেন মার্কিন তারকা অ্যান্ড্রু মুরে৷ সেই খেলাটা চলেছে টানা তিন ঘন্টা৷ তারপরেই এই রবিবারের ফাইনাল৷ আর সেখানে উল্টোদিকে রজার ফেদারার৷ সেই একই ফেদারার যিনি ২০০৮ সালে এই লন্ডনেই নাদালের কাছে হেরে গিয়েছিলেন ফাইনালে৷ বিশ্ব টেনিসের মূলমঞ্চে নাদালের সেই বিজয়কে মহাকাব্যের জয় বা ‘এপিকাল ভিক্টরি' বলে ব্যাখ্যা করা হয়৷ ফেদারারের অব্যাহত জয়যাত্রাকে রুখে দিয়েছিলেন সেদিন তিনি৷ অতএব শনিবারের ক্লান্তিই রবিবারে নাদালকে কেমন যেন গোলমালে ফেলে দিয়েছিল৷ আর ফেদারার সেই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে একটুও দেরি করেন নি৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম