1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোববার জার্মানির দুই রাজ্যে নির্বাচন, আলোচনায় এএফডি

৬ অক্টোবর ২০২৩

রোববার জার্মানির বাভারিয়া ও হেসে রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ অভিবাসনবিরোধী এএফডি পার্টি ঐ দুই রাজ্যে দ্বিতীয় বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4XDWz
বাভারিয়া ও হেসে রাজ্যে নির্বাচনের আগে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে অভিবাসন ও অর্থনীতি
বাভারিয়া ও হেসে রাজ্যে নির্বাচনের আগে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে অভিবাসন ও অর্থনীতিছবি: Thorsten Wagner/onemorepicture/IMAGO

৪ অক্টোবরের সবশেষ জরিপ বলছে, বাভারিয়া রাজ্যেসবুজ দল ১৫ শতাংশ, এএফডি ১৪ শতাংশ এবং এসপিডি সাড়ে সাত শতাংশ ভোট পারে৷ আর ৫ অক্টোবর হেসে রাজ্য নিয়ে করা জরিপে দেখা গেছে, সবুজ দল ১৬.৯ শতাংশ, এসপিডি ১৬.২ শতাংশ ও এএফডি ১৫.৬ শতাংশ ভোট পাবে৷

বাভারিয়ায় জার্মানির প্রধান বিরোধী দল সিডিইউর সহযোগী দল সিএসইউ ৩৭ শতাংশ ভোট পাবে বলে সবশেষ জরিপ বলছে৷ আর হেসেতে সিডিইউ পাবে ৩১.৬ শতাংশ ভোট৷ অর্থাৎ দুই রাজ্যেই সিডিইউ আবারও সরকার গঠন করবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷

দুই রাজ্যে নির্বাচন শেষে এএফডি কত ভোট পাচ্ছে, সেদিকে সবার নজর থাকবে৷ কারণ, বাভারিয়া ও হেসে রাজ্য দুটি জার্মানির সবচেয়ে ধনাঢ্য রাজ্যের মধ্যে পড়ে৷ মিউনিখ ও ফ্রাঙ্কফুর্ট এই দুই রাজ্যে অবস্থিত৷ সাধারণত, জার্মানির পূর্বাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রাজ্যগুলোতে এএফডির সমর্থন বেশি দেখা যায়৷

অভিবাসনবিরোধী এএফডি দলটি জাতীয় পর্যায়েএখন দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়ে উঠেছে৷ তাদের চেয়ে পেছনে আছে জার্মানির জোট সরকারে থাকা তিন দল এসপিডি, সবুজ দল ও এফডিপি৷ গত জুন ও জুলাই মাসে দুটি স্থানীয় নির্বাচনে এএফডির জয় বিশ্ব গণমাধ্যমের দৃষ্টি কেড়েছিল৷

বাভারিয়া ও হেসে রাজ্যে নির্বাচনের আগে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে অভিবাসন ও অর্থনীতি৷ কারণ জার্মানিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা প্রায় ২০১৫ সালের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে৷ তাই অনলাইনে জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা সিভেই এর এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৮৬ শতাংশ জার্মান অভিবাসন পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত বলে জানিয়েছেন৷ বছরখানেক আগে সংখ্যাটি ছিল ৬৭ শতাংশ৷

এছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর জ্বালানি সংকট মোকাবেলাসহ অন্যান্য কারণে জার্মানির অর্থনীতি এখন মন্দায় আছে৷ তাই এই বিষয়টিও রাজ্য নির্বাচনের আগে আলোচিত হচ্ছে৷  

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজা গত ২৭ সেপ্টেম্বর বলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন কমাতে জার্মানির সঙ্গে পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে পুলিশি প্রহরা বাড়ানো হবে৷ এবং এটি অবিলম্বে শুরু হবে৷

অভিবাসন বিষয়ক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুই রাজ্য নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

এদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস শনিবার বলেছেন, ‘‘বর্তমানে জার্মানিতে আসার চেষ্টা করা শরণার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি৷ এভাবে চলতে পারে না৷''

জার্মানিতে চরম ডানপন্থা ও তিনটি প্রশ্ন

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)