1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

রুশ হামলার মধ্যেও প্রতিরোধের আশ্বাস দিলেন জেলেনস্কি

২৮ নভেম্বর ২০২২

সপ্তাহান্তেও ইউক্রেনের উপর রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে৷ রাজধানী কিয়েভে নাগরিক পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অনেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কঠিন সময়ের আশঙ্কা করছেন৷

https://p.dw.com/p/4KAHH
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি তার দৈনিক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকার ডাক দিয়েছেন৷
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি (ফাইল ফটো)ছবি: Spencer Platt/AFP/Getty Images

রোববারও রাশিয়ার হামলা থেকে রেহাই পায়নি ইউক্রেন৷ ফলে জ্বালানিসহ নাগরিক পরিষেবার বিভিন্ন কাঠামোর উপর হামলায় ব্যাপক ক্ষতির মাত্রা শেষ পর্যন্ত কতটা মারাত্মক হতে চলেছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি তার দৈনিক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকার ডাক দিয়েছেন৷ তার আশঙ্কা, যতদিন রাশিয়ার হাতে ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে ততদিন সে দেশ হামলা চালিয়ে যাবে৷ তারা শীতকাল ও শীতকে ইউক্রেনের মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জেলেনস্কি সতর্ক করে দেন৷ তবে তিনি ইউক্রেনের লাগাতার সামরিক প্রতিরোধেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

রোববার রাশিয়া মূলত সদ্য হাতছাড়া হয়ে যাওয়া খেরসন অঞ্চলের উপর গোলাবর্ষণ করেছে৷ খেরসন শহরের প্রায় গোটা অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে৷ গোটা সপ্তাহান্ত জুড়ে সেই অঞ্চলে ৫০টিরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন সেই অঞ্চলের স্থানীয় ইউক্রেনীয় কমান্ডার ইয়ারোস্লাভ ইয়ানুশেভিচ৷ মূলত বেসামরিক জনগণের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর জন্য তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ করেছেন৷ দেশের বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে৷

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রোববার বিদ্যুৎ, পানি, উত্তাপ ও মোবাইল পরিষেবা অনেকটাই আবার চালু করা সম্ভব হয়েছে৷ শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, মেরামতির কাজ চলছে, তবে বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা দেখা দিলে হয়তো স্থানীয় পর্যায়ে লোডশেডিং-এর প্রয়োজন হবে৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সমালোচনার জবাবে শহরের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো বলেন, তার প্রশাসন রেকর্ড গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতা খর্ব হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করলেও এমন অনুমান সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করেছেন এস্টোনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হানো পেভকুর৷ তার মতে, গত প্রায় নয় মাসের যুদ্ধের পরেও রাশিয়ার নৌ ও বিমান বাহিনীর ক্ষমতা প্রায় অটুট রয়েছে৷ বার্লিন সফরকালে তিনি আরও বলেন, স্থলবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোনো এক সময়ে রাশিয়া সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে আরও বড় বাহিনী প্রস্তুত করতে পারে৷ মোটকথা, রাশিয়া ভবিষ্যতেও ন্যাটোর জন্য বড় হুমকি হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এস্টোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

জেডএইচ/এসবি (ডিপিএ, রয়টার্স)