1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুশ-মার্কিন সংলাপের জেরে রেহাই পেলো গ্যাস পাইপলাইন

২০ মে ২০২১

বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার সঙ্গে প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রুশ-জার্মান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প সম্পর্কে কিছুটা সুর নরম করলো ওয়াশিংটন৷ তবে বিতর্ক এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি৷

https://p.dw.com/p/3teUJ
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার সঙ্গে প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রুশ-জার্মান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প সম্পর্কে কিছুটা সুর নরম করলো ওয়াশিংটন৷ তবে বিতর্ক এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি৷
ছবি: Jens Buettner/AP/picture alliance

মতপার্থক্য ও তর্জনগর্জন সত্ত্বেও কূটনৈতিক পথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা যতটা সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করে রাশিয়া ও অ্যামেরিকা৷ জো বাইডেন মার্কিন  প্রেসিডেন্ট হবার পর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বৈঠকে এমন বাস্তববাদী মনোভাব দেখা গেল৷ আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিক শহরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, যাবতীয় মতপার্থক্য সত্ত্বেও দুই দেশ কিছু ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে৷ লাভরভ মনে করেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে পৃথিবী আরো নিরাপদ হয়ে উঠবে৷

আর্কটিক কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে এসে দুই নেতাই মুখোমুখি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন৷ কোনো বড় সাফল্য না এলেও শুভ সূচনা হয়েছে বলে এক মার্কিন কূটনীতিক মন্তব্য করেন৷ ব্লিংকেন বলেন, বাইডেন রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যাশিত ও স্থায়ী সম্পর্ক চান৷ করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি, আফগানিস্তানে সংঘাতের মতো বিষয়ে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন৷

রুশ-মার্কিন সংঘাতের একটি বিষয়ে সুর কিছুটা নরম করেছে বাইডেন প্রশাসন৷ রাশিয়া থেকে জার্মানিতে সরাসরি গ্যাস সরবরাহ করতে পাইপলাইন তৈরির কাজে আর তেমন বাধা দিচ্ছে না ওয়াশিংটন৷ বাইডেন-লাভরভ বৈঠকের মাঝেই অ্যামেরিকা কয়েকটি জাহাজ ও কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করলেও ‘নর্ড স্ট্রিম ২' প্রকল্পের পেছনে মূল কোম্পানি ও কোম্পানির প্রধানকে রেহাই দিয়েছে৷ ফলে প্রায় ১১০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ আপাতত উজ্জ্বল থাকছে৷

এই মনোভাবের কারণ ব্যাখ্যা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, অ্যামেরিকার জাতীয় স্বার্থে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি ও কোম্পানির পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ কার্যকর করা উচিত হবে না৷ কারণ, সে ক্ষেত্রে জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ বাইডেন অবশ্য বুধবারও এই পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিরোধিতায় অটল ছিলেন৷

এমন সিদ্ধান্তের ফলে জার্মানি তথা ইউরোপের অনেক দেশ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে৷ জার্মানি বরাবর এই প্রকল্পটিকে শুধু বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে৷ মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস সেটিকে ‘গঠনমূলক পদক্ষেপ' হিসেবে বর্ণনা করেন৷ গত কয়েক মাসে ওয়াশিংটন ও বার্লিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতার বাইরে এ বিষয়ে সংলাপ চলছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন৷

বাইডেন প্রশাসনের এই ছাড় সত্ত্বেও বিতর্কিত এই প্রকল্পের পথে সব কাঁটা দূর হচ্ছে না৷ প্রেসিডেন্সিয়াল ওয়েভার সত্ত্বেও অনেক সংসদ সদস্য গোটা প্রকল্পের বিরোধিতা করে চলেছেন৷ মূল কোম্পানি রেহাই পেলেও প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যরা নিষেধাজ্ঞার মুখে কাজ শেষ করতে পারবে কিনা, সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য