1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রিপোর্ট ঘিরে তীব্র বিতর্ক ইসরায়েল-অ্যামনেস্টির

২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে ইসরায়েলকে ‘বিভাজনসৃষ্টিকারী’ রাষ্ট্র বলেছে অ্যামনেস্টি৷ পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েলের বক্তব্য অ্যামনেস্টি 'ইহুদিবিরোধী' আগুন ছড়াচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/46OdC
ইসরায়েল
ছবি: Nir Alon/ZUMAPRESS.com/picture alliance

মঙ্গলবার প্রায় ২০০ পাতার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ ওই রিপোর্টে অ্যামনেস্টির সঙ্গে কাজ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠন বিটিসেলেম৷

রিপোর্টে একাধিক বিষয়ের অবতারণা করে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, তাকে ‘অ্যাপারথেইড’ বলা যায়৷ সমাজবিজ্ঞানে এই শব্দটি নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে। বস্তুত অ্যাপারথেইড শব্দটিকে বিভাজনসৃষ্টিকারী রাষ্ট্রের সংজ্ঞা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়৷ যে রাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে। সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্ণ-ধর্ম-জাতিসত্ত্বা ইত্যাদি বিষয়গুলিকে সামনে রাখে৷ অ্যাপারথেইডের ভাবানুবাদ হতে পারে বিভাজনসৃষ্টিকারী রাষ্ট্র৷ অ্যামনেস্টির রিপোর্টে এই শব্দটি ব্যবহার করেই ইসরায়েলকে আক্রমণ করা হয়েছে৷ ইতিহাস উল্লেখ করে, এবং ইতিহাসের ঘটনাবলি সাজিয়ে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ইসরায়েলে বসবাসকারী আরব এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে ইসরায়েলের প্রশাসন৷ শুধু তা-ই নয়, গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের উল্লেখ করেও ইসরায়েলকে একহাত নিয়েছে অ্যামনেস্টি৷

অ্যামনেস্টির রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কড়া প্রত্যুত্তর দিয়েছে ইসরায়েল৷ তাদের বক্তব্য, একতরফা ব্যাখ্যা করেছে মানবাধিকার সংগঠনটি৷ তাদের ব্যাখ্যা ইহুদিবিরোধী মানসিকতায় ইন্ধন জোগাবে৷ এক্ষেত্রে একটি কড়া শব্দ ব্যবহার করেছে ইসরায়েল৷ তারা বলেছে, অ্যামনেস্টি অ্যান্টিসেমিটিজমের জন্ম দিচ্ছে। যার অর্থ ইহুদিবিরোধিতা৷

অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস কোলামার্ড ইসরায়েলের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন৷ তিনি বলেছেন, ইতিহাস ব্যাখ্যা করেই মানবাধিকার সংগঠনটি এই রিপোর্ট তৈরি করেছে৷ ইসরায়েল অকারণে অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগছে৷

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের জন্মের সময় বহু ফিলিস্তিনি এবং আরব সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে পালিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ইসরায়েলে প্রায় ২০ শতাংশ ফিলিস্তিনি এবং আরব থাকতে শুরু করেন৷ তাদের সঙ্গে ইসরায়েল বিমাতৃসুলভ আচরণ করে৷ কাজের সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত হন৷ গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ধরলে দুইপক্ষের মানুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান৷ কিন্তু ফিলিস্তিনিদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়৷

ইসরায়েলের বক্তব্য, অ্যামনেস্টির রিপোর্টে গোড়ায় গলদ আছে। তারা ইতিহাসের ভুল ব্যাখ্যা করেছে। ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়, এ কথাও মানতে চায়নি ইসরায়েল।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অ্যামনেস্টির রিপোর্ট এবং ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া দুই ক্ষেত্রেই বেশকিছু কড়া শব্দের ব্যবহার আছে। যা পরিস্থিতি আরো জটিল করে দিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, এপি, রয়টার্স)