1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

রাশিয়ার হুমকির মুখে ইউরোপে সামরিক তৎপরতা

২৭ জুন ২০২৪

রাশিয়া ও বেলারুশ সীনান্তে বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরক্ষা অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায় ইউরোপের প্রতিবেশী দেশগুলি৷ এখনই ন্যাটোর সদস্য হতে না পারলেও ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সেতুবন্ধ' গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4hZDF
পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে দুজন পোলিশ সৈন্য (ফাইল ফটো)
রাশিয়া ও বেলারুশ সীনান্তে ইউরোপের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিরক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগছবি: Kuba Stezycki/REUTERS

ইউক্রেনের উপর চলমান রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের কিছু দেশ নিজস্ব নিরাপত্তা আরো জোরালো করতে ইউরোপীয় স্তরে বিশেষ প্রস্তুতির ডাক দিয়েছে৷ রাশিয়া ও তার সহযোগী দেশ বেলারুশের স্থল সীমান্ত বরাবর ইইউ-র বিশেষ প্রতিরক্ষা বলয় সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছে পোল্যান্ড, লিথুয়েনিয়া, লাটভিয়া ও এস্টোনিয়া৷ শুধু সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, রাশিয়া সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে অন্যান্য ক্ষতিকর কার্যকলাপও চালাতে পারে বলে এই দেশগুলি আশঙ্কা করছে৷

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে৷ ইউরোপের সুরক্ষার লক্ষ্যে এমন সামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে ইইউ-র সব সদস্য দেশের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হবে৷ সামরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি ‘হাইব্রিড' নাশকতার নানা রূপ মোকাবিলার ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে মনে করে পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলি৷ ভুয়া খবর ছড়ানো, সাইবার হামলা, অর্থনৈতিক চাপ ও জোর করে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঠেলে দেওয়ার মতো পদক্ষেপের আশঙ্কা করছে এই দেশগুলি৷

কয়েকজন ইইউ কূটনীতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে  প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেই সীমান্তে সামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে আনুমানিক ২৫০ কোটি ইউরোর প্রয়োজন হবে৷ এখনো পর্যন্ত ইইউ রাষ্ট্রজোট হিসেবে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এত বড় তৎপরতা দেখায় নি৷ শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, এর আগে গ্রিস ও পোল্যান্ড ইইউ স্তরে ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম'-এর আদলে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল৷ পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলি ন্যাটোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইইউ স্তরে প্রতিরক্ষা আরো মজবুত করার প্রস্তাব রেখেছে৷ ইউক্রেনের প্রতি অটুট সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সমন্বয় ও সহযোগিতার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করছে৷ ইউক্রেনের সঙ্গে ইইউ-র এক নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে৷

ন্যাটোর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ওয়াশিংটনে আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনেও রাশিয়ার হুমকির মুখে ইউরোপের প্রতিরক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ নিউ ইয়র্ক টাইমসের সূত্র অনুযায়ী ইউক্রেন এখনই পূর্ণ সদস্যপদের পথে এগোনোর সুযোগ না পেলেও সে দেশের সঙ্গে ন্যাটোর সমন্বয় বাড়াতে এক বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে৷ এর আওতায় ন্যাটো দেশগুলির দ্বিপাক্ষিক সহায়তার মধ্যে আরো সমন্বয়ের লক্ষ্যে এক কেন্দ্রীয় কাঠামো গড়ে তোলা হবে৷ ফলে ইউক্রেনের অস্ত্র, গোলাবারুদ, সামরিক সরঞ্জাম ও সামরিক প্রশিক্ষণের চাহিদা মেটাতে ন্যাটো ভবিষ্যতে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)