1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

রাশিয়ার হামলা রুখতে দ্রুত সহায়তা চায় ইউক্রেন

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বে রাশিয়ার লাগাতার হামলা ও আরও বড় সামরিক অভিযানের আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দ্রুত সহায়তার আবেদন করেছেন৷ ব্রাসেলসে ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/4NUXi
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিছবি: Tribouillard/AFP/Getty Images

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার বর্যপূর্তির তারিখ যত এগিয়ে আসছে, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে রুশ গোলাবর্ষণ ততই বেড়ে চলেছে৷ বিশেষ করে বাখমুত শহর দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে পুটিনের বাহিনী৷ সেখান থেকে দনিয়েৎস্ক অঞ্চলের অন্যান্য শহরের উপরেও কবজা করতে চায় রাশিয়া৷ যুদ্ধের এক বছরের মাথায় কিছু একটা সাফল্য মস্কোর জন্য জরুরি হয়ে উঠছে৷ তবে ভাগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেন, ইউক্রেনের জোরালো প্রতিরোধের কারণে বাখমুত দখল করা কঠিন হয়ে উঠছে৷ ভুলেদার শহরেও রাশিয়ার বিশাল ক্ষতির দাবি করেছে ইউক্রেনের বাহিনী৷

বর্তমান সামরিক তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে আরও বড় আকারে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের আশঙ্কা করছে ইউক্রেনের নেতৃত্ব৷ এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে আরও দ্রুত সামরিক সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি৷ তাঁর মতে, ইউক্রেনে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির আগেই রাশিয়া যতটা সম্ভব জায়গা দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ মঙ্গলবার রাতের ভাষণে তিনি তাই দ্রুত সাহায্যের আবেদন করেন৷ জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷

ব্রাসেলসে ন্যাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মনে করেন, হারানো জমি ফিরে পেতে ইউক্রেন বসন্তকালে নিজস্ব সামরিক অভিযান চালাবে৷ তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব সে দেশকে যত দ্রুত সম্ভব আরও অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের চেষ্টা করছে৷ ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, পুটিন আরও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিউস বলেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব না পেলেও এমন সম্ভাবনা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হতে পারে৷

রাশিয়া অভিযোগ করেছে, যে ন্যাটো সে দেশের প্রতি প্রতিদিন বৈরি মনোভাব দেখাচ্ছে ও সংঘাতে আরও জড়িয়ে পড়ছে৷ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান'-এর ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের এমন মনোভাব মোটেই ন্যায্য বলে মনে করে না রাশিয়া৷ দুই পক্ষই এতকাল সরাসরি সংঘাত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা এড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ মঙ্গলবারই নেদারল্যান্ডসের দুটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডের আকাশসীমার খুব কাছে তিনটি রুশ যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি টের পেয়ে সেগুলিকে পিছিয়ে যেতে বাধ্য করেছে৷ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সে বিষয়ে অবশ্য কোনো মন্তব্য করে নি৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)