1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট ঢাকার, দিল্লি বিরত

১৩ অক্টোবর ২০২২

জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে ভারত ও বাংলাদেশ বিপরীত অবস্থান নিল। ঢাকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল। দিল্লি ভোটদানে বিরত থাকল।

https://p.dw.com/p/4I6oM
জাতিসংঘে রাশিয়া নিয়ে ভোটাভুটি হলো।
জাতিসংঘে রাশিয়া নিয়ে ভোটাভুটি হলো। ছবি: Bebeto Matthews/AP/dpa/picture alliance

রাশিয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দখল করে, গণভোট করিয়ে সেগুলিকে নিজেদের এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার এই আচরণের বিরুদ্ধেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি ছিল। সেখানেই বাংলাদেশ-সহ ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়। মাত্র পাঁচটি দেশ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ও রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেয়। ভারত, চীন, পাকিস্তান-সহ ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

একদিন আগেই রাশিয়া প্রস্তাব করেছিল, এই ভোট গোপন ব্যালটে হোক। তখন ভারত রাশিয়ার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু মূল প্রস্তাব নিয়ে যখন ভোটাভুটি হলো, তখন তারা ভোটদানে বিরত থাকল।

রাশিয়ার নিন্দা

রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে জাতিসংঘে মোট চারবার তাদের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে শেষ প্রস্তাবেই সবচেয়ে বেশি ভোট বিপক্ষে পড়েছে।

রাশিয়া চেয়েছিল, এই ভোটাভুটি গোপন ব্যালটে হোক। তাদের যুক্তি ছিল, খোলাখুলি ভোট হলে অনেক দেশই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে দ্বিধাবোধ করবে। কিন্তু তাদের সেই প্রস্তাব ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায়।

অ্যামেরিকা-সহ পশ্চিমা দেশগুলি ভোটাভুটির আগে পর্যন্ত ভারত ও সাউথ আফ্রিকাকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য বোঝাবার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টায় ফল হয়নি। দুই দেশই ভোটদানে বিরত ছিল।

এর আগে গত মার্চে বাংলাদেশ, ইরাক ও সেনেগাল জাতিসংঘের নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল। কিন্তু এবার তিন দেশই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল।

প্রস্তাবে কী বলা হয়েছে

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমার মধ্যে থাকা কিছু অঞ্চলে রাশিয়া যে তথাকথিত গণভোট করিয়েছে তার নিন্দা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এরপর যে চারটি অঞ্চলকে তারা বেআইনিভাবে নিয়ে নিয়েছে তারও তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিতে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন ইউক্রেনের সীমানার কোনো পরিবর্তনকে স্বীকৃতি না দেন। রাশিয়াকে বলা হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে এই সব এলাকা থেকে সরে যায়।

জাতিসংঘে অ্যামেরিকার দূত লিন্ডা গ্রিনফিল্ড বলেছেন, কোনো দেশ যেন রাশিয়াকে সমর্থন না করে। তারা যেন এই বার্তা না দেয় যে, প্রতিবেশীর জমি জোর করে দখল করাকে তারা সমর্থন করছেন। তিনি বলেছেন, আজ এটা রাশিয়া করছে। কাল অন্য কোনো দেশ প্রতিবেশীর সঙ্গে একই কাজ করতে পারে।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)