1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

রাশিয়ার পদার্থবিদদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ‘বাধা’

১০ জুন ২০২৪

রুশ বিজ্ঞানীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন৷ অথচ তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা কার্যত আরো কঠিন হযে পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/4gsV4
প্রতীকী ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট আবেদনের অন্তত ৪০% প্রত্যাখ্যাত হয়েছেছবি: Dionis11930/Pond5 Images/IMAGO

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া্৷নয় হাজারের মতো রুশ বিজ্ঞানী এক খোলা চিঠির মাধ্যমে এ হামলার নিন্দা জানান৷ ভ্লাদিমির পুটিনের সরকার স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টাকে ভালোভাবে নেয়নি৷ফলে শুরু হয় গ্রেপ্তার, নির্যাতন নিপীড়ন, নির্যাতন সবচেয়ে বেশি নেমে আসে পদার্থবিদদের ওপর৷তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগে৷

তখন রুশ বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্র৷ রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের সহজে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করে হোয়াইট হাউস৷ কিন্তু সেই উদ্যোগ বিশেষ কোনো সাফল্য পায়নি৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রুশ বিজ্ঞানী ডয়চে ভেলেকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির কযেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে তার৷ তারা জানিয়েছেন, কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের বিরোধিতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্যোগ সফল হয়নি৷

মস্কোর অদূরের চেরনোগোলোভকা অঞ্চলের লান্দাউ ইন্সটিটিউট ফর থিওরটিক্যাল ফিজিক্সের পদার্থবিদ মিখায়েল ফাইগেলমান

২০২২ সালের বসন্তে পোল্যান্ডে চলে যান৷ সেখানে গিয়ে ওয়ারশর যুক্তরাষ্ট্র কনসুলেটে ভিসার জন্য আবেদন করেন৷ তার কন্যা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন৷ ভিসার আবেদনে তাই মেয়ের আমন্ত্রণপত্রও সংযুক্ত করেছিলেন মিখায়েল৷

আবেদনপত্র দেখে মিখায়েলের কিছু পাবলিকেশন দেখতে চায় কর্তৃপক্ষ৷ অতীতে পাবলিকেশন দেখানোর পর ভিসা পেতে কখনো সমস্যা হয়নি৷কিন্তু এবার তাতেও ভিসা জোটেনি৷ কারণ জানাতে গিয়ে মিখায়েল বলেন, ‘‘সাত মাস পর জানানো হয় আমার ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে৷ আমাকে বলা হয়, ইউএসএ-তে গেলে যে যথাসময়ে ফিরে আসবো তা আমি প্রমাণ করতে পারিনি৷''

USA, Washington I Außenministerium der Vereinigten Staaten I State Department
ছবি: Nicholas Kamm/AFP/Getty Images

আবেদন প্রত্যাখ্যানের এমন নজির আরো আছে৷ তবে সেগুলোর সম্পর্কে কেউ সরাসরি কথা বলতে চান না, তাই প্রকৃত সংখ্যা এখনো অজানা৷

নাম প্রকাশ না করে যারা তথ্য দিয়েছেন তাদের একজন জানালেন আরো অবাক করা তথ্য৷ ক্যালিফোর্নিয়ার ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক) থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি৷ বিবাহিত তরুণ বিজ্ঞানী তারপর সস্ত্রীক ভিসার আবেদন করেন৷ ২০২২ সালের গ্রীষ্মে আবেদন করার পর থেকে শুরু হয় অপেক্ষা৷ দু বছর পর দেখা গেল স্ত্রী ভিসা পেলেও স্বামী পাননি৷ 

ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রাশিয়ার ওপর নেমে আসে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা৷ রাশিয়ার কমপক্ষে ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরও প্রয়োগ করা হয় নিষেধাজ্ঞা৷ এর ফলে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যানের হারও বেড়ে যায়৷

রাশিয়ার ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ফোরাম ভিনসোকোগো জানায়, কিছুদিন আগেও রুশ সামরিক বাহিনীর কর্মীদের ভিসা দিতো অ্যামেরিকা৷ তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনের রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার অনেক বেড়েছে৷

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট আবেদনের অন্তত ৪০% প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷ অথচ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু আগে মোট প্রত্যাখ্যাত আবেদন ১৫% থেকে ১৭%-এর মধ্যে ওঠানামা করতো৷

দানিল সোতনিকভ/ এসিবি