1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজস্পেন

রাশিয়া সবচেয়ে বড় বিপদ: ন্যাটো

৩০ জুন ২০২২

রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ প্রস্তাব নেওয়া হলো ন্যাটোয়। একইসঙ্গে চীনকে বিপদের তালিকায় রাখা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4DRer
ন্যাটো
ছবি: Bernd von Jutrczenka/dpa/picture alliance

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ এতবড় নিরাপত্তার সংকটে পড়েনি, বুধবার এই ভাষাতেই রাশিয়াকে আক্রমণ করেছেন ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। একইসঙ্গে তিনি ইউক্রেনকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, যতদিন যুদ্ধ চলবে, ততদিন কিয়েভকে সাহায্য করবে ন্যাটো।

মাদ্রিদে শুরু হয়েছে ন্যাটোর বার্ষিক সম্মেলন। সেখানেই এই ঘোষণা করেছেন ন্যাটো প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর ন্যাটো তাদের পরিকল্পনায় বড় বদল এনেছে। নতুন করে ন্যাটোর বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। বস্তুত, একসময় সাবেক মার্কিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটোকে অকার্যকর সংস্থা বলে সমালোচনা করেছিলেন। ন্যাটো ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছিলেন, ন্যাটোর ব্রেন ডেথ হয়েছে।

স্টলটেনবার্গ এদিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার যুদ্ধ ন্যাটোকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে। এবারের সম্মেলনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি

এদিন ন্যাটোর 'স্ট্র্যাটেজিক কনসেপ্ট' ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সেনার সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে তিন লাখ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক জায়গায় এই সেনারা আপাতত হাই অ্যালার্টে থাকবে। একইসঙ্গে বাল্টিক সাগর অঞ্চলে এবং পোল্যান্ডে ভারি অস্ত্র সরবারহ করা হবে। যে কোনো সময় যাতে তা ব্যবহার করা যায়, তা দেখা হবে।

ন্যাটো জানিয়েছে, যতদিন ইউক্রেনের যুদ্ধ চলবে, ততদিন ন্যাটো তাকে সাহায্য করবে। সামরিক সাহায্যের পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত এবং মানবিক সাহায্যও করা হবে। ইউক্রেনের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারেও কিয়েভকে আশ্বাস দিয়েছে ন্যাটো।

ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে আহ্বান

এদিনের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে ন্যাটোয় আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হতে প্রায় একবছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে ন্যাটোর ৫ নম্বর ধারায় যুক্ত হবে নতুন দুই দেশ। যার অর্থ, সামগ্রিক সামরিক সহায়তা পাবে তারা।

অ্যামেরিকার ঘোষণা

অ্যামেরিকা জানিয়েছে, তারাও ইউরোপে সেনার সংখ্যা বাড়াবে। জল, স্থল এবং আকাশে তারা শক্তিবৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, পোল্যান্ডে নতুন সেনা হেডকোয়ার্টার খুলবে অ্যামেরিকা। স্পেনে দুইটি নতুন যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে এবং যুক্তরাজ্য অঞ্চলে অতিরিক্ত ফাইটার জেট স্কোয়াড্রন পাঠানো হবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)