1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়া ও চীনকে সতর্ক করে দিলো জি-সেভেন

১৭ এপ্রিল ২০২৩

জি-সেভেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, বল প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক সীমানা পরিবর্তন একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ চীন ও তাইওয়ানের প্রশ্নে ঐক্যের উপর জোর দিচ্ছে শিল্পোন্নত দেশগুলির এই গোষ্ঠী৷

https://p.dw.com/p/4QAsY
জাপানে জি-সেভেন সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন
জাপানে জি-সেভেন সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনছবি: Andrew Harnik/REUTERS

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা এবং তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীনের তর্জনগর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পোন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেন বল প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক কাঠামো পরিবর্তন সম্পর্কে সতর্ক করে দিলো৷ কারুইজাওয়া শহরে এই গোষ্ঠীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি সবার হয়ে এই মন্তব্য করেন৷ তিনি আরও বলেন, জি-সেভেন আইনি শাসন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো ধরে রাখতে বিশ্বের কাছে দৃঢ় প্রত্যয় দেখাবে৷ তাঁর মতে, আন্তর্জাকির সমাজ ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে৷

ইউক্রেন ও তাইওয়ান ছাড়াও জি-সেভেন গোষ্ঠীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পর্কেও আলোচনা করছেন৷ সুদানে আচমকা হিংসা নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ আগামী মে মাসে হিরোশিমা শহরে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ঐক্যের উপর জোর দিচ্ছেন৷ বেইজিং সফরের ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ-র বিতর্কিত মন্তব্যের পর শিল্পোন্নত দেশগুলির মধ্যে ঐক্যে যে চিড় ধরেছে, সেই ধাক্কা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে৷ মাক্রোঁ যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমিয়ে ইউরোপের কৌশলগত আত্মনির্ভরতার উপর জোর দিয়ে তাইওয়ান সংকটকে হালকাভাবে গণ্য করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই মনোভাব দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ ফলে জি-সেভেনের যৌথ বিবৃতিতে তাইয়ান সংকট কতটা গুরুত্ব পায়, সে বিষয়ে বাড়তি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে৷ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটেরিন কলোনা জোর দিয়ে বলেন, চীন ও তাইওয়ান সম্পর্কে তার সরকারের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয় নি৷

ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে ইউরোপ ও অ্যামেরিকার বন্ধন আরও জোরালো হলেও চীন ও তাইওয়ানের প্রশ্নে এখনো পুরোপুরি ঐকমত্য সৃষ্টি হয় নি৷ মার্কিন প্রশাসন সম্প্রতি চীনের প্রতি আরও কঠোর অবস্থান নিয়ে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন আরও জোরদার করলেও ইউরোপে এখনো তেমন মনোভাব দেখা যাচ্ছে না৷ ইউরোপের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জোসেপ বরেল বলেন, চীন আরও পেশিশক্তি দেখালেও সে দেশের সঙ্গে সংলাপ চালু রাখতে হবে, বাণিজ্যও চালিয়ে যেতে হবে৷ সেটা না করলে চীনের উপর অর্থনৈতিক প্রভাব হাতছাড়া হয়ে যাবে এবং অন্য কেউ সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে আসবে বলে বরেল সতর্ক করে দেন৷ তার মতে, চীনের আচরণের উপর ইউরোপের সঙ্গে সে দেশের সম্পর্ক নির্ভর করবে৷

নিবিড় অর্থনৈতিক সম্পর্ক সত্ত্বেও অ্যামেরিকা ও জাপান চীনের ‘অর্থনৈতিক জবরদস্তি' সম্পর্কে উদ্বিগ্ন৷ এই অবস্থায় চীনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের মতো সরবরাহের শৃঙ্খলের ক্ষেত্রে অন্যান্য উৎসের সন্ধান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)