1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়া-আফ্রিকা সামিটে যোগ দেবে না বহু দেশ

২৭ জুলাই ২০২৩

সামিটে খাদ্যসুরক্ষা নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক হতে পারে। মস্কোয় অনুষ্ঠিত হবে দুইদিনের সামিট।

https://p.dw.com/p/4UROn
আফ্রিকা-রাশিয়া বৈঠক
খাদ্যসংকট নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনাছবি: Nicolas Remene/Le Pictorium Agency via ZUMA Press/picture alliance

বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এই বৈঠক হওয়ার কথা। যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে এই সামিটের আয়োজন করেছে রাশিয়া। কিন্তু প্রতিবার এই সম্মেলনে যত দেশ যোগ দেয়, এবার তাদের অনেকেই যাচ্ছে না।

বস্তুত, ২০১৯ সালে শেষবার এই সামিট হয়। সেখানে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ৪৫ জন সদস্য বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এবছর সেখানে যোগ দিচ্ছেন মাত্র ১৭ জন সদস্য। মস্কোর বক্তব্য, পশ্চিমা দেশগুলি আফ্রিকার দেশগুলিকে ভয় দেখিয়ে সামিটে যোগ দিতে দিচ্ছে না। রাশিয়ার সঙ্গে এই বৈঠকে যোগ দিলে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে, এমন ভয় আছে দেশগুলির। সে কারণেই তারা সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছে না বলে রাশিয়ার অভিযোগ। পশ্চিমা দেশগুলি অবশ্য একথা মানতে রাজি হয়নি।

ইউক্রেনের খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে রোমানিয়ার সাহায্যের হাত

তবে বৈঠকে যারা যোগ দিচ্ছে, তারাও রাশিয়াকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, বৈঠকের মূল আলোচনা খাদ্য সুরক্ষা এবং আফ্রিকায় খাদ্য সরবরাহ নিয়ে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বেশ কিছুদিন কার্যত অবরুদ্ধ ছিল কৃষ্ণসাগর। ফলে ইউক্রেনের সমস্ত খাদ্যশস্যবোঝাই জাহাজ আটকে পড়েছিল। পরে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। রাশিয়া ইউক্রেনের জাহাজের জন্য কৃষ্ণসাগরের রাস্তা খুলে দেয়।

চলতি মাসে রাশিয়া সেই চুক্তি বাতিল করেছে। শুধু তা-ই নয়, চুক্তি বাতিলের কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে বোমাবর্ষণ করে রাশিয়া। এই বন্দর থেকেই খাদ্যশস্য জাহাজে তোলা হয়।

রাশিয়া এই চুক্তি বাতিল করায় সংকটে পড়েছে আফ্রিকার দেশগুলি। ইউক্রেন খাদ্য সরবরাহ না করলে আফ্রিকাজুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। সামিটে একথা বলা হবে। অন্যদিকে রাশিয়ার বক্তব্য, মস্কো আরো কম দামে আফ্রিকাকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করবে। অর্থাৎ, আফ্রিকা ইউক্রেনকে এই বাণিজ্য থেকে বাইরে ঠেলে দিতে চাইছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাশিয়ার পক্ষে একাজ করা সম্ভব নয়। এভাবে খাদ্য সরবরাহের যে ভারসাম্য তা বজায় থাকবে না। আফ্রিকার নেতারা রাশিয়াকে সে কথা জানাবেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)