রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা, পাকবাহিনীর ভুল!
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯তার বাবাও গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় থাকলেও মায়ের নাম রয়েছে রাজাকার তালিকায়৷
বরিশালের বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদের নেতা ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী এই অভিযোগ জানিয়েছেন নিজের ফেসবুক পেজে৷
তার অভিযোগ, একদিকে তার বাবা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তীর নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকার গেজেটে ৪১১৩ পৃষ্টায় ১১২ নম্বরে রয়েছে, অন্যদিকে নতুন প্রকাশ করা রাজাকার তালিকাতেও নাম উঠেছে তার৷ মনীষার ঠাকুরদা (বাবার বাবা) অ্যাডভোকেট সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীর নামও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়৷ কিন্তু সুধির কুমারের স্ত্রী অর্থাৎ মনীষার ঠাকুমা (বাবার মা) উষা রানী চক্রবর্ত্তীর নাম স্থান পেয়েছে রাজাকার তালিকায়৷
মনীষা তার পোস্টে বলেছেন, ‘‘মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করার পুরস্কার পেলাম আজ। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগকে। সদ্য প্রকাশিত রাজাকারদের গেজেটে আমার বাবা এবং ঠাকুমার নাম প্রকাশিত হয়েছে।''
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যায় বরিশাল এলাকার তালিকায় ৪৫ নম্বরে রয়েছে উষা রানী চক্রবর্ত্তীর নাম, ৬৩ নম্বরে রয়েছে তপন কুমার চক্রবর্তীর নাম৷
রাজনৈতিক মতভেদের কারণে হেনস্তা করার লক্ষ্যেই এটি করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি৷ ফেসবুকে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আমার রাজনীতি করার খেসারত দিতে হচ্ছে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে। ধন্যবাদ আওয়ামী লীগ সরকারকে৷''
গত বছর বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাসদের মনোনয়নে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন ডা. মনীষা চক্রবর্তী৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি৷ এই তালিকা আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি৷ যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তালিকাটি করেনি৷ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছিল, সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত ছিল৷ আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি৷ সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না৷’’
তিনি বলেন, ‘‘একই নামে তো অনেক মানুষ থাকতে পারে৷ আর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কেন, এটা হতে পারে না৷ আর যদি আসেও সেটা পাক বাহিনীর ভুল৷ যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখবো৷’’
এডিকে/কেএম