1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজবাড়িতে, রাজার হালে

মনিরুল ইসলাম২২ মার্চ ২০১৩

সামন্ত যুগের অবসান হয়েছে কবে, তবে তার চিহ্ন আছে এখনো৷ এই জার্মানিতেই, চলতে গেলে দেখা মিলবে অনেক দুর্গের৷ এই রকম একটি দুর্গে যদি রাত কাটাতে চান, তবে চলে যান হোটেল কোমব্যার্গে৷ প্রায় হাজার বিশেকের মতো দুর্গের একটি এটি৷

https://p.dw.com/p/Oxk3
এরকম এক দুর্গের মধ্যে কী রাত কাটাতে মন চায়? (ফাইল ফটো)ছবি: Burgverwaltung Hohenzollern

বাভারিয়ার কোমব্যার্গ দুর্গটি ১ হাজার বছর আগের৷ ত্রয়োদশ শতক থেকে এই ক্যাসেলের ইতিহাস পাওয়া যাচ্ছে৷ ১৩১৮ সালে ন্যুরেমবার্গের ডিউক ফ্রেডেরিক দুর্গটি কিনে নেন৷ ১৭৯১ সালে এটি আসে প্রুশিয়ান রাজত্বে৷ ১৮ শতকের শুরুতে এই দুর্গটি হয় বাভারিয়ার রাজপ্রাসাদ৷ ১৯২৭ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এটি জাপানের রাজপ্রতিনিধির আবাস ছিল৷ ১৯৬৪ সালের পর একটিকে হোটলে রূপান্তরিত করা হয়৷

দৃষ্টিনন্দন ওই দুর্গের বাতায়নে চোখ রাখলে দেখবেন দিগন্ত বিস্তৃত বন্ধুর এলাকা৷ সবুজে সবুজ৷ কাঠের পাটাতনের এই হোটেলে মধ্যযুগের নানা চিত্রকর্ম মুগ্ধ করবে আপনাকে৷ রাজকীয় সব ব্যাপার৷ থাকবেনও রাজার হালে৷ দুর্গের চারদিকের উঁচু প্রাচীর নিরাপত্তার আমেজ দেবে আপনাকে৷ হোটেলটিতে আধুনিক কক্ষও আছে৷ তবে দুর্গে গিয়ে পুরনো আমলের কক্ষে রাজার মতো থাকার মজাই তো আলাদা৷ হোটেলটিতে কোনো লিফট নেই৷ সুতরাং ওঠা নামার জন্য সিঁড়িই ভরসা৷ হোটেলটির সঙ্গে একটি চিড়িয়াখানাও আছে৷ যেখানে চরে বেড়াচ্ছে হরিণ৷

কোমব্যার্গ ক্যাসল হোটেলে ডাবল বেডরুমের ভাড়া শুরু হয় ৭৯ ইউরো থেকে৷ আর সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৪২ ইউরো থেকে৷ হানিমুন স্যুট আছে, ভাড়া ১৮৫ ইউরো৷ এখানে বিয়ের ব্যবস্থাও আছে৷ আর হোটেল খোলা থাকে সারা বছরই৷ তাই চলে যেতে পারেন যে কোনো সময়৷