1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনৈতিক স্পর্শকাতর ফিল্ম ‘আরক্ষণ’ নিয়ে বিতর্কের ঝড়

১২ আগস্ট ২০১১

সমাজের অনুন্নত শ্রেণীর জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে কোটা সিস্টেমের ওপর তৈরি প্রকাশ ঝার ‘আরক্ষণ’ ছবির প্রদর্শন কয়েকটি রাজ্য নিষিদ্ধ করায় ছবির পরিচালক সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হন৷ আজ তার শুনানি হবার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি৷

https://p.dw.com/p/12FlI
তপসিলি জাতি/উপজাতি সংক্রান্ত বিতর্কের কারণেই সমস্যায় আরক্ষণছবি: AP

জাতপাতের ভিত্তিতে কোটা সিস্টেমের ওপর নির্মিত প্রকাশ ঝার ‘আরক্ষণ' ছবিটি নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেনা৷ রাজনৈতিক স্পর্শকাতর এই ছবিটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া সত্বেও, জাতীয় তপসিলি জাতি/উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান মনে করেন ছবির কিছু দৃশ্য ও সংলাপ আপত্তিকর৷ দলিতদের ভাবাবেগকে আঘাত করেছে৷ সেগুলি বাদ দিতে হবে৷ সেন্সর বোর্ডের প্রধান তা মানতে রাজি নন৷ শুরু হয় বিক্ষোভ, বিতর্ক প্রতিবাদ৷

ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশে৷ ছবির ২৫% রাজস্ব এই তিনটি রাজ্য থেকেই ওঠার কথা৷ পরিচালক প্রকাশ ঝা নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করেন সুপ্রীম কোর্টে৷ কিছু টেকনিক্যাল কারণে আজ তার শুনানি হয়নি৷ অন্যান্য রাজ্যে অবশ্য ছবিটি মুক্তি পায় আজ৷ দর্শরা কী বলছেন? একজন বললেন, ‘‘ছবিটি দেখেছি আপত্তিকর কিছু নেই৷ জানিনা কয়েকটি রাজ্য কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ ছবিতে আপত্তিকর কিছু নেই৷ বিতর্কের কারণে ছবি হিট হবে কিনা জানিনা৷ সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাবার পর ছবি যদি দেখানো না যায়, তাহলে সেন্সর বোর্ড রাখার দরকার কী?''

‘আরক্ষণ' ছবির নির্মাতাদের মতে রাজনীতিকরা খাপছাড়াভাবে ছবির কিছু অংশ তুলে সমস্যা তৈরি করছে স্রেফ ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে৷ পুরো ছবির মধ্যে যে বার্তা আছে সেটা তাঁরা উপলব্ধি করেনি৷ একটা দুটো দৃশ্য বা সংলাপে কিছু এসে যায়না৷ ছবি মানে শুধু হিরো আর ভিলেন নয়৷ উল্লেখ্য, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোট৷

ছবির প্রধান ভূমিকায় অমিতাভ বচ্চন, সৈইফ আলি খান ও দীপিকা পাড়ুকোন৷ বচ্চন এক আদর্শবাদী স্কুল শিক্ষক৷ আর সৈইফ দলিত স্কুল শিক্ষক যে ভালবাসে বচ্চনের মেয়ে দীপিকাকে৷ ছবি নিয়ে গন্ডগোলের আশঙ্কায় অমিতাভ বচ্চন ও সৈইফ আলির বাড়ি সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বচ্চন স্বয়ং৷

জাতপাত ভিত্তিক কোটা সিস্টেম নিয়ে সহিংস আন্দোলন শুরু হয় ৮০-এর দশকে যখন মন্ডল কমিশন তপসিলি জাতি/উপজাতিদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা চালু করে৷ এতে উচ্চবর্ণের মধ্যে পুঞ্জীভূত হয় অসন্তোষ৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ