রাজনৈতিক বৈরিতা বন্ধে প্রধান উপদেষ্টার আহবান
২৮ ডিসেম্বর ২০০৮প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি মাত্র মূল অঙ্গীকার নিয়ে এ সরকার অগ্রসর হয়েছে৷ আর তা হল ২০০৮ সাল শেষ হবার পূর্বেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের৷ এ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো একটি ক্রটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের৷ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের দ্বারপ্রান্তে৷বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন সংস্কার কর্মকান্ডের উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করা৷
বর্তমান ভোটার তালিকাকে একটি সাফল্য বলে অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার পরও শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সেনাবাহিনী একযোগে কাজ করে মাত্র ১১ মাসে ৮ কোটি ১০ লাখেরও বেশী ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে৷ যে কোন মাপকাঠিতেই এটি একটি বিরাট সাফল্য৷ দেশের ইতিহাসে এত নির্ভুল ভোটার তালিকা আগে কখনও প্রণীত হয়নি৷
তিনি আরো বলেন, গত বছর ১লা নভেম্বর বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়েছে৷ বিগত বছরগুলোতে দুর্নীতি সর্বস্তরে অনুপ্রবেশ করেছিল৷ দুর্নীতি দমন কমিশন আজ একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী সংস্থা৷স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামো সুদৃঢ় করা হয়েছে৷ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির৷ নারীর ক্ষমতায়ন বাড়াতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে মহিলাদের জন্য রাখা হয়েছে একটি
সহ-সভাপতির সংরক্ষিত পদ৷
এছাড়া ড. ফখরুদ্দিন আহমদ তার সরকারের আরো সাফল্যের কথা তুলে ধরেন৷ যেমন, সরকারী কর্ম কমিশনকে পুনর্গঠন, পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণ, টেলিফোন সেবার মান বৃদ্ধি, নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ইত্যাদি৷
খাদ্য উৎপাদনে তিনি সফলতার দাবি করে বলেন, ২০০৮ সালে খাদ্য শস্যের মোট উৎপাদন ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ খাদ্য উৎপাদন৷ চলতি মাস পর্যন্ত খাদ্য মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ মেট্রিক টন৷ এছাড়া মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জনশক্তি রপ্তানিসহ চট্টগ্রাম বন্দর সচল করে তোলার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ড. ফখরুদ্দিন আহমদ৷
তিনি নির্বাচনোত্তর কালে সহিংসতা ও বৈরী মনোভাব পরিহার করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, জনগণের রায় যেন হয় তাদের জন্য দায়িত্ব, জনগণের সমর্থন যেন হয় তাঁদের মৌলিক অধিকার পুরণের কমিটমেন্ট৷