1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাখাইনে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছে মিয়ানমার

২১ জানুয়ারি ২০২০

মিয়ানমার সরকারের একটি তদন্ত প্যানেল রাখাইনে সেনা অভিযানের সময় রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে৷ তবে তারা সেখানে গণহত্যার কোনো প্রমাণ পায়নি৷

https://p.dw.com/p/3WY8K
Myanmar: Zehn muslimische Rohingya-Männer knien mit gefesselten Händen im Inn-Din-Dorf
ছবি: Reuters/Handout

সরকার নিযুক্ত ওই প্যানেল সোমবার তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ গ্রামবাসী ও  সেনাসদস্যদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে৷

আইসিওই-র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর দমনাভিযানের সময় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ তারা পেয়েছেন৷ এসব ঘটনার জন্য ‘নানা ভূমিকায়' থাকা লোকজনের মধ্যে সেনা বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন এমন সিদ্ধান্তে আসার মতো ‘বাস্তব প্রমাণ' পাওয়া গেছে৷

যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওইসব ঘটনার মধ্যে ‘নিরাপরাধ গ্রামবাসীকে হত্যা ও  তাদের বাড়িঘর ধ্বংস' করার ঘটনাও আছে৷ কিন্তু তাদের বিবৃতিতে ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার জন্য রোহিঙ্গা জঙ্গিদের দায়ী করে ওই হামলাই দমন অভিযানের ‘সূচনা' করেছে মন্তব্য করে পরিস্থিতিকে ‘অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত' বলে বর্ণনা করা হয়৷

তবে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের কথা স্বীকার করলেও গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানায় আইসিওই৷ বলা হয়, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে মুলসমান বা অন্য কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা পরিকল্পনা করে হত্যা বা বিতাড়ন করার যথেষ্ট প্রমাণ আইসিওই পায়নি৷

‘‘এসব অপরাধ কোনো ধর্মীয় বা জাতিগত, নৃগোষ্ঠী বা জাতিকে পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করার অভিপ্রায় নিয়ে বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে গণহত্যা বিবেচিত হওয়ার মত মানসিকতা নিয়ে করা হয়নি৷ সিদ্ধান্তে আসা তো দূরের কথা, এটা নিয়ে বিতর্ক করার মত যথেষ্ট প্রমাণই নেই৷''

তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর মিয়ানমার সরকার ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে ‘একমত' বলে জানান প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ট৷ তিনি বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিক এবং রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে অধিকতর তদন্তের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন৷

রাখাইনে সেনা অভিযানের সময় প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷

সেখানে রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ এই তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘প্রকৃত অপরাধ ঢাকার চেষ্টা' বলে বর্ণনা করেন৷

বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমরা নিপীড়িত হচ্ছি৷ আমাদের অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে, শিশুদের আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে৷ যদি এসব গণহত্যা না হয় তবে গণহত্যা কাকে বলে?''

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গত বছর নভেম্বরে গাম্বিয়া জাতিসংঘের বিচার আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) এ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে৷

আগামী ২৩ জানুয়ারি আইসিজেমিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে৷

এসএনএল/কেএম (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য