যে নয়টি অস্বাভাবিক পানীয়কে স্বাভাবিক মনে করে জার্মানরা
জার্মানিতে এমন কিছু পানীয় রয়েছে যার নাম অন্য ভাষাতে সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়৷ যদিও জার্মানরা মনে করে এসব পানীয় থাকা খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু বিদেশিদের কাছে তা নাও মনে হতে পারে৷
আপ্ফেলশ্যোর্লে
গ্যাসযুক্ত পানির সঙ্গে আপেল কিংবা জুস কিংবা অন্য কোনো জুসের মিশ্রন ঘটিয়ে তৈরি পানীয়কে জার্মানরা বলে ‘শ্যোর্লে৷’ জার্মানিতে এটি এক জনপ্রিয় পানীয়৷ কিন্তু এই পানীয়র নাম অন্যভাষায় ভাষান্তর এখনো সম্ভব হয়নি৷ ইংরেজিতে কেউ কেউ যদিও এটিকে ‘অ্যাপল স্প্রিৎসার’ বলার চেষ্টা করে, কিন্তু তাতে ব্যাপারটা ঠিক বোঝানো যায়না৷ তারচেয়ে গ্যাসযুক্ত পানির সঙ্গে অ্যাপল জুসের মিশ্রন বললে হয়ত সহজে বুঝবে সবাই৷
বার্লিনার ভাইসে মিট স্যুস
বিয়ারে অন্য কিছু মেশানোটা জার্মানিতে ঠিক আইনসিদ্ধ নয়৷ দেশটিতে ‘বিয়ার পিউরিটি ল’ রয়েছে এবং সেটি মোটামুটি সবাই মেনে চলে বলা যায়৷ তবে ব্যতিক্রম যে একেবারেই নেই তা নয়৷ এই যেমন বার্লিনার ভাইসে বিয়ার, যেটিতে অ্যালকোহলের পরিমাণ তিন শতাংশের মতো, সাধারণত রাস্পবেরি বা উডরাফ সিরাপের সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়৷ এই মিশ্রন এখন বোতলেও বিক্রি হচ্ছে৷
রাডলার
বিয়ারভিত্তিক মিশ্র পানীয় জার্মানিতে অনেকের পছন্দ৷ লেমন সোডামিশ্রিত বিয়ারকে বলা হয় ‘রাডলার,’ সাইক্লিস্ট বোঝাতেও এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷ অনেক সাইকেলচালকের প্রিয় পানীয়ও এই বিয়ার৷ ইংরেজি ভাষাভাষীদেশগুলোতে এই মিশ্রন ‘স্যান্ডি’ হিসেবে পরিচিত, তবে মার্কিন মুল্লুকে এই পানীয়’র অর্ডার দিলে বেয়ারা বিভ্রান্ত হতে পারে৷
বানানেনভাইৎসেন
বিয়ারের সঙ্গে কলার জুসের এই মিশ্রন রাডলারের মতো জনপ্রিয় না হলেও জার্মান বারগুলোতে আপনি এটা চাইলে কেউ বিস্মিত হবে না৷
ডিজেল
আর্বান ডিকশনোরিতে ডিজেল বিয়ারকে প্রকৃত অর্থেরই ‘হার্ডকোর বিয়ার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তবে, জার্মানিতে এই বিয়ার মানে হচ্ছে আরেকটি মিশ্রন, যেটিতে অর্ধেক বিয়ার এবং অর্ধেক কোলা থাকে৷ অঞ্চলভেদে এই বিয়ারের ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে৷
স্পেৎসি
কোলার কথাই যখন বলছি, তখন জার্মানির আরেক পানীয়র কথাই বা বাদ পড়বে কেন৷ কোলা এবং অরেঞ্জ সোডার মিশ্রনের তৈরি ‘স্পেৎসি’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই জার্মান বাজারে ছাড়ে একটি প্রতিষ্ঠান৷ এখনো বহাল তবিয়তে আছে এই পানীয়৷
ক্লাব-মেট
গত কয়েক দশকে বার্লিনের ক্লাবেপ্রেমি এবং কম্পিউটার হ্যাকারদের কাছে প্রতীকী পানীয়তে পরিণত হয়েছে এই ‘কফিনেটেড কার্বোনেটেড বেভারেজ’৷ তবে এই পানীয় উদ্ভাবন করেছিল বাভারিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান, ১৯২৪ সালে৷
কিবা
কিবা? জার্মানির রেস্টুরেন্টের মেন্যুতে এই পানীয়র উপস্থিতি দেখলেও কোনো জার্মান ডিকশোনারিতে খাবারটি খুঁজে পাবেন না৷ মূলত চেরি এবং বানানা জুস মিশিয়ে এই পানীয়টি তৈরি করা হয়৷
সাওয়ারক্রাউট জুস
সাওয়ারক্রাউট, মানে গাঁজান বাধাকপি, থেকে নিঃসরিত তরল পদার্থ প্রাচীনকালে জাদুকরী ওষুধ হিসেবে পরিচিত ছিল৷ যদিও এই পানীয় এখন খুব বেশি জনপ্রিয় নয়, তাসত্ত্বেও প্রায় সব সুপারমার্কেট এবং ডিসকাউন্টারে এটি বিক্রি হয়৷