যে চুমু ভোলা যায় না
ভালোবাসা আছে, অথচ চুম্বন নেই, এমনও হয় নাকি! ভালোবাসা দিবসে দেখে নেওয়া যাক কিছু অসামান্য চুম্বনের দৃশ্য, জন্মজন্মান্তরেও যা ভোলার নয়৷
হাওয়ায় চুমু
১৯৩৯ সালের ছবি ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’৷ ছবিতে স্কারলেট ও’হারার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ভিভিয়েন লেই৷ তাঁর অসামান্য সৌন্দর্য এখনো ভুলতে পারা যায় না৷ সেই ছবিতে রেট বাটলারকে আচম্বিতে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিলেন শারলেট৷ পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও তা অবিস্মরণীয় হয়ে থেকে গিয়েছে৷
ছবিতে প্রথম চুম্বন
১৮৯৬ সালে তৈরি হয়েছিল শর্ট ফিল্ম ‘দ্য কিস’৷ সে সময়ের বিখ্যাত দুই থিয়েটার অভিনেত্রী এবং অভিনেতা মে ইরউইন এবং জন সি. রাইস ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন৷ ছবিটিতে প্রায় ২০ সেকেন্ড ধরে একটি চুম্বন দৃশ্য দেখানো হয়৷ সেটেই সিনেমায় প্রথম চুম্বন দৃশ্য৷ সেই দৃশ্য নিয়ে সে সময় বহু সমালোচনা হয়েছিল৷
মাকড়সা মানুষের চুম্বন
২০০২ সালে প্রকাশিত ‘স্পাইডার ম্যান’ ছবিতে এক দীর্ঘ চুম্বনের দৃশ্য ছিল৷ সেখানে দেওয়াল থেকে উল্টো হয়ে ঝুলছেন স্পাইডার ম্যান আর তাঁর প্রেমিকা তাঁকে নীচ থেকে চুমু খাচ্ছেন৷ অভিনেতা টবে ম্যাগুইরে পরে বলেছিলেন, ওই দৃশ্যের শ্যুটিং করতে গিয়ে খুবই বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে৷ ঝুলতে ঝুলতে চুমু খাওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁর সেই প্রথম এবং সেই শেষ৷
কেট-উইলিয়ামস
তাঁর বা-মা চুমুর দৃশ্য এখনো পৃথিবীর অন্যতম প্রচারিত ছবি৷ ডায়না এবং চার্লসের সেই দৃশ্যই দ্বিতীয়বার মনে করিয়ে দেন প্রিন্স উইলিয়ামস৷ ২০১১ সালে কেটকে বিয়ে করার পর এক দীর্ঘ চুম্বনে আবদ্ধ হন দু’জনে৷
যুদ্ধশেষের চুম্বন
১৯৪৫ সালের ১৪ আগস্ট৷ নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যার তখন ভর্তি মার্কিন নৌসেনায়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে৷ তারই মধ্যে খবর এলো, জাপান যুদ্ধ বন্ধ করেছে, অর্থাৎ, বিশ্বযুদ্ধের অবসান৷ সেই উন্মাদনায় টাইমস স্কোয়্যারে শুরু হয়ে যায় উৎসব৷ মহিলাদের জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতে শুরু করেন সৈনিকেরা৷
জিতে নেওয়া চুম্বন
চুম্বন কি কেবল ভালোবাসার মানুষের জন্যই? ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি হাতে নিয়ে দীর্ঘ চুম্বন করেছিলেন জার্মান তারকারা৷ ক্যাপ্টেন বেকেনবাওয়ারের হাতে কাপ তুলে দেওয়া হয়৷ তারপর তা ঘুরতে থাকে অন্য খেলোয়াড়দের হাতে৷ গোলরক্ষক সেপ মায়ের ট্রফি হাতে পেয়ে সবচেয়ে দীর্ঘ চুম্বনটি করেন৷
সম্মানের চুম্বন
বিশ্ব পরিভ্রমণ করার সময় পোপ দ্বিতীয় জন পল প্রতিটি দেশের মাটিকে চুম্বন করেন৷ প্রত্যেক দেশের মাটিকে চুম্বন করে তিনি সম্মান জানিয়েছিলেন৷ ১৯৮৬ সালে ফিজিতে তোলা হয়েছিল তাঁর এই ছবি৷
কার্টুনেও চুম্বন
১৯৫৫ সালে ডিজনি তৈরি করে একটি কার্টুন ছবি ‘লেডি অ্যান্ড দ্য ট্রাম্প’৷ সেখানে চাঁদনি রাতে দুই কার্টুন কুকুরের চমৎকার প্রেমের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল৷ ছিল চুম্বনের দৃশ্যও৷
মাছেদের প্রেম
চুম্বন কেবল মানুষের দখলে নয়৷ পশুদের দুনিয়াতেও চুম্বনের নানা দৃশ্যদেখা যায়৷ তবে তা সবসময় ভালোবাসার নয়৷ অনেক সময় লড়াইয়েরও৷ তেমনই এক চুম্বনের লড়াই ধরা পড়েছে এই ছবিতে৷ দুই মাছের লড়াই৷