যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ, ২৮ মরদেহ উদ্ধার
৩০ জানুয়ারি ২০২৫যাত্রীবাহী বিমানে ৬০ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন৷ বিমানটি ক্যানসাস রাজ্যের উইচিটো থেকে ওয়াশিংটনের রিগান জাতীয় বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল৷ বিমান সংস্থা অ্যামেরিকান এয়ারলাইন্সের সাবসিডিয়ারি পিএসএ এয়ারলাইন্স ফ্লাইটটি পরিচালনা করছিল৷
আর সামরিক হেলিকপ্টারে তিনজন সেনা ছিলেন৷ তারা ‘প্রশিক্ষণ ফ্লাইট’ পরিচালনা করছিলেন৷
ওয়াশিংটনের দমকল প্রধান জন ডন্যালি জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৩০০৷ তাদের ‘খুবই বাজে’ আবহাওয়ায় কাজ করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি৷
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডন্যালি ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করার কথা জানান৷ এর মধ্যে ২৭ জন বিমানের যাত্রী ছিলেন৷ বাকিদের মধ্যে আর কেউ বেঁচে না থাকার আশঙ্কাও করছেন তিনি৷
যুক্তরাষ্ট্রের ফিগার স্কেটিং জানিয়েছে, বিমানে তাদের কয়েকজন সদস্য ছিলেন৷
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানান, তাকে পুরো বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে৷ দুর্ঘটনার চার ঘণ্টা পর সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প৷ সেখানে তিনি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সমালোচনা করেন৷ এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলেও মনে করছেন তিনি৷
দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি৷
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত রিগান জাতীয় বিমানবন্দর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে৷
১৯৮২ সালে রিগান বিমানবন্দর থেকে একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর সেটি দ্রুত নিচে নামতে থাকে৷ এরপর সেটি একটি সেতুতে আঘাত করে পটোম্যাক নদীতে পড়ে গিয়েছিল৷ ঐ দুর্ঘটনায় ৭৮ জন মারা গিয়েছিলেন৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)