যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’
১১ মে শেষ হলো ট্রাম্প আমলের নিষেধাজ্ঞা৷ এরপর থেকে মেক্সিকোর অভিবাসীরা আরো সহজে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন৷ সীমান্তের দুই পাড়েই নানা সংকট রয়েছে৷
তারকাঁটার বেড়ার পেছনে
৪০ মাসের নিষেধাজ্ঞার পর ১১ মে শেষ হলো যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা৷ একইসঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ২০২০ সালের মার্চে নেয়া বিতর্কিত অভিবাসন নীতির ‘টাইটেল ৪২’-ও তুলে নেয়া হচ্ছে৷
বাধা ডিঙ্গানো
আইনগত বিশেষ বাধা তুলে নেয়ার কারণে অ্যামেরিকায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য নতুন করে আশার সঞ্চার হলো৷ বাধা থাকার সময় থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ মানুষকে ঢুকতে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র৷
ধারা ৪২-এর বদলে ধারা ৮
ধারা ৪২-এর জায়গায় ধারা ৮ যোগ করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, যদি কেউ নিজ দেশে অত্যাচার বা নির্যাতনের শিকার হন তাহলে তিনি যু্ক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় আবেদন করতে পারবেন৷ যারা আশ্রয় আবেদন করেননি, তাদের অবিলম্বে ফেরত পাঠানো হবে৷
ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি
তবে ৪২ ধারা রদের ফলে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অনেক মানুষ অভিবাসনের আশায় ভিড় জমাতে পারেন৷ কারণ তাদের কাছে ধারা ৪২ না থাকা মানে হলো নিয়ম শিথিল হয়ে পড়া৷
নিরাপত্তার আশা
এই নারীর মতো মেক্সিকোর রিও গ্রান্ডে নদীর ধারে অনেকেই আশায় আছেন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দারিদ্র্য, সহিংসতা এবং নানা সামাজিক ও পরিবেশগত ঝুঁকি এড়াতে পারবেন৷ অধিক নিরাপদ জীবন পাবেন৷
ওপারে, তবে স্বাভাবিক জীবনে নয়
যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে৷ এল পাসোতে এই অভিবাসীরা ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি এড়িয়েছেন৷ কিন্তু তাদের থাকতে হচ্ছে রাস্তায়৷ শিশুরা ভিক্ষা করছে৷ জীবনমান ভালো নয়৷
দুই বেড়ার মাঝখানে
৪২ ধারা রদ হলে তাদের ওপাড়ে যাওয়া নিশ্চিত হবে কি না তা নিশ্চিত নয়৷ তবে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অনেক মানুষ অপেক্ষায় আছেন৷ বাইডেন প্রশাসন অনিয়মিত প্রবেশকে শক্ত হাতে দমন করবে বলে জানিয়েছে৷