1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না’

২৫ নভেম্বর ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে, এমন দাবি করেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র৷ তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চেয়েছিল ডয়চে ভেলে৷

https://p.dw.com/p/4ZRKR
USA, Washington I Außenministerium der Vereinigten Staaten I State Department
ছবি: Nicholas Kamm/AFP/Getty Images

বুধবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘অক্টোবরের শেষে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিরোধীদলীয় এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷’’

পিটার হাসের এই তৎপরতাকে ভিয়েনা কনভেনশন না মেনে সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চরম হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন৷ রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার এই বক্তব্য মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ (সাবেক টুইটার) তুলে ধরা হয়৷ বুধবার ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও তার বক্তব্য পোস্ট করা হয়৷

এক ইমেইলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির অবস্থান ব্যক্ত করেছেন৷

ডয়চে ভেলেকে পাঠানো ইমেইলে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা জানি যে, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক এবং মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে মিজ জাখারোভার ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল উপস্থাপন করেছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না৷ কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য দলের চেয়ে বেশি পক্ষপাতের দৃষ্টিতেও দেখে না৷’’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তার দেশ সেটিই চায় যা বাংলাদেশের মানুষ চায়৷ আর তা হচ্ছে, ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন’৷

এই লক্ষ্যে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে বলেও ইমেইলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

এদিকে, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন বক্তব্য 'বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক' বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে বিএনপি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা এই বিবৃতি শনিবার দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘বিএনপি'র সমাবেশ আয়োজনে কোন বিদেশী কূটনীতিক সহায়তা করেছেন, এমন অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত অভিযোগ ইতিপূর্বে উত্থাপিত হয়নি। এই ধরণের বাস্তবতা-বিবর্জিত বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আকাঙ্খার বিরোধী বলে প্রতীয়মান।’’

বিবৃতিতে রিজভী অভিযোগ করেছেন, ‘‘মিস জাখারোভার দৃষ্টিভঙ্গি গণতন্ত্রকামী জনগণের স্পৃহাকে অবমূল্যায়নের মাধ্যমে, দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থাকেই সমর্থন করে।’’ পাশাপাশি, ‘গণআকাঙ্খার বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য কোন রাষ্ট্র, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের জনবিচ্ছিন্ন ও গণবিরোধী অপশাসনকে অযাচিত সমর্থন করবে না’ বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিটিতে। 

এডিকে/এফএস