1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যে হত্যা মামলার প্রতিবাদে সশস্ত্র পুলিশের কর্মবিরতি

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলি করে মারার পর খুনের মামলা পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সশস্ত্র ডিউটিতে নেই একশ জন অফিসার।

https://p.dw.com/p/4WkyO
লন্ডনের সশস্ত্র পুলিশ।
লন্ডনে দশজন পুলিশের মধ্যে একজন সশস্ত্র। ছবি: Vuk Valcic/Zuma/picture alliance

লন্ডনে পুলিশ অফিসারদের এই সিদ্ধান্তের পরেই সেনাকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।  একশ জন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, যেহেতু তাদের সহকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, তাই অস্ত্র-সহ ডিউটিতে তারা যোগ দেবেন না।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা নির্দিষ্ট কিছু কাজে পুলিশকে সহায়তা করবে। প্রধাণত সন্ত্রাস বিরোধী কাজের ক্ষেত্রে তারা এই সহায়তা করবে। লন্ডনে এর জন্য বিশেষ সশস্ত্র পুলিশ অফিসাররা আছেন, যারা এখন কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন।

যুক্তরাজ্যে সব পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকে না। যাদের হাতে অস্ত্র থাকে, তারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত পুলিশ অফিসার। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, একশজনের মতো পুলিশ অফিসার এই অস্ত্র-সহ ডিউটিতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন।

পুলিশ অফিসারের বিচার হবে

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ২৪ বছর বয়সি কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ক্রিস কাবার মৃত্যু হয়েছিল পুলিশ অফিসারের গুলিতে। যে পুলিশ অফিসারের গুলি লেগে তার মৃত্যু হয়, তার নাম জানানো হয়নি। তাকে বলা হচ্ছে এনএক্স ১২১।

কাবা দক্ষিণ লন্ডনে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাকে পুলিশ গুলি করে। একটা গুলিতেই তার মৃত্যু হয়।

কাবার কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। পরে অভিয়োগ ওঠে, এটা হলো বর্ণবাদী ঘটনা।

পরে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা করা হয়। কাবার পরিবার তাকে স্বাগত জানায়। ওই অফিসার শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন। আগামী বছর তাকে মামলার মুখোমুখি হতে হবে।

সমর্থনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুলিশ অফিসারদের এই সিদ্ধান্তের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেভারম্যান বলেছেন, ''পুলিশ অফিসারদের সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মতো কম সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।''

পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রথমে বেশ কয়েকজন অফিসার সশস্ত্র ডিউটিতে যোগ দিতে অস্বীকার করেন। তারপর এই সংখ্যাটা সমানে বাড়ছে।

মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুলিশ অফিসাররা উদ্বিগ্ন। তারা দেখতে চান, কীভাবে এই সিদ্ধান্ত তাদের ও তাদের পরিবারের উপর প্রভাব ফেলবে। তারা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তারা রীতিমতো উদ্বিগ্ন।

গ্রেপ্তারের ক্ষমতা সেনার নেই

সেনাকে এখন পুলিশের কিছু কাজ করার জন্য ডাকা হয়েছে। কিন্তু তারা পুলিশের কিছু নির্দিষ্ট কাজ করতে পারবেন না। কারণ, তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা নেই।

২০২০ সাল থেকে পুলিশের গুলিতে কাবা-সহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত কেউ ছুরি বা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করলে পুলিশ গুলি চালায়।

যুক্তরাজ্যে তাই পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলাও খুবই বিরল ঘটনা। ২০২১ সালে একজন পেশাদার ফুটবল প্লেয়ারকে হত্যার দায়ে এক কনস্টেবলের ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।  উত্তপ্ত তর্কবিতর্কের পর ওই কনস্টেবল শটগান ব্যবহার করে ও ফুটবলারের মাথায় লাথি মারে। 

তবে সাম্প্রতিককালে লন্ডন পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি)