যুক্তরাজ্যে হঠাৎ ভোট, প্রচারণা শুরু
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার নিজ দলের সাংসদসহ অনেককে অবাক করে ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছেন৷ ৪ জুলাইয়ের ভোট সামনে রেখে এখন পুরো দেশ চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতারা৷
ভোটের তারিখ ঘোষণা
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিটেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ তবে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রায় ছয় মাসে আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন৷ ৪ জুলাই ভোটগ্রহণ হবে বলে বুধবার ঘোষণা দেন তিনি৷ বিষয়টি তার দলের অনেক সাংসদকেই অবাক করেছে৷
নির্বাচনি প্রচারণা শুরু
বুধবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার থেকেই প্রচারণা শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো৷ শুক্রবার সংসদ মুলতবি করা হবে৷
এত আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য কারণ
বিশ্লেষকেরা নানা কারণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন৷ একদল বলছেন, সুনাক যেদিন ভোটের ঘোষণা দেন সেদিন ব্রিটেনে মূল্যস্ফীতির হারের সবশেষ তথ্য বের হয়েছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, এই হার এখন ২.৩ শতাংশ৷ ২০২২ সালের অক্টোবরে সুনাক যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন সেটি ছিল প্রায় ১১ শতাংশ৷ তবে বিরোধীরা বলছেন, সাগর পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে পৌঁছা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিষয়টি ব্যর্থ হওয়ার আগেই নির্বাচন করতে চান সুনাক৷
সুনাক কী বলছেন?
এত আগে ভোটের তারিখে ঘোষণার মাধ্যমে তিনি সাহস দেখিয়েছেন বলে জানান ঋষি সুনাক৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত৷ অনিশ্চিত সময়ে নিরাপত্তার জন্য সাহসী সিদ্ধান্তের দরকার হয়, যেটা আমার আছে৷’’ তবে অন্যরা এই সিদ্ধান্তকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ‘বোকামি’ বলছেন৷
জরিপের ফল
ভোটের তারিখে ঘোষণার পর করা প্রথম জরিপ বলছে, বিরোধী লেবার পার্টির প্রতি ৪৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আছে৷ সুনাকের কনজারভেটিভ দলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ২৭ শতাংশ ভোটার৷ এরপর আছে ডানপন্থি দল রিফর্ম ইউকে পার্টি (১০%), লিবারেল ডেমোক্রেটস (৯%) ও গ্রিন পার্টি (৫%)৷ অর্থাৎ প্রায় ১৪ বছর পর লেবার দলের সরকারে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷
‘বিশৃঙ্খলা থামাবো’
লেবার পার্টি বলছে, টোরি শাসনামলে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি হয়েছে তাতে পরিবর্তন আনবে তারা৷ নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করে লেবার পার্টির প্রধান কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘‘আমরা বিশৃঙ্খলা বন্ধ করবো৷’’ কনজারভেটিভরা যদি আবারও ক্ষমতায় যায় তাহলে কোনোকিছুতে পরিবর্তন আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
কনজারভেটিভদের হুমকি হতে পারে রিফর্ম ইউকে
জরিপে তিন নম্বরে থাকা দল ডানপন্থি পপুলিস্ট ঘরানার রিফর্ম ইউকে পার্টি ইংল্যান্ডের সাবেক শিল্পাঞ্চল এলাকায় কনজারভেটিভ পার্টির জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে৷ নাইজেল ফ্যারাজের সাবেক ব্রেক্সিট পার্টি হচ্ছে রিফর্ম ইউকে পার্টি৷ এর বর্তমান প্রধান রিচার্ড টাইস৷ তিনিও নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছেন৷