1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের জায়গায় ‘ট্রাম্প লাইট'?

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর দল সিডিইউর প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর যাঁকে সেই পদে এনেছিলেন তিনি সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন৷ সেই পদে ‘ট্রাম্প লাইট' বলে পরিচিত এক রাজনীতিক আসতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/3XbwV
Deutschland CDU-Parteitag in Hamburg Friedrich Merz
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schreiber

তাঁর নাম ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস৷ অভিবাসনবিরোধী বক্তব্যের কারণে জার্মানির জোট সরকারের অংশ এসপিডি দল তাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে একসময় ‘ট্রাম্প লাইট' হিসেবে উল্লেখ করেছিল৷ এমনকি জার্মানির ইসলাম ও অভিবাসনরোধী দল এএফডিও ম্যার্ৎসের বিরুদ্ধে তাদের নীতি চুরি করার অভিযোগ এনেছিল৷

ম্যার্কেলের পর সিডিইউ দলের প্রধান হয়েছিলেন আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার৷ ‘মিনি-ম্যার্কেল' হিসেবে পরিচিত কারেনবাউয়ার ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ম্যার্ৎসকে হারিয়ে দলের প্রধান নির্বাচিত হন৷ ৫১৭-৪৮২ ভোটে তিনি জয়ী হয়েছিলেন৷

তবে দলের প্রধান হিসেবে কারেনবাউয়ার নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি৷ টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনা সেটি আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে ঐ রাজ্যের সিডিইউ নেতৃবৃন্দ এএফডির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল৷

এরপর কারেনবাউয়ার পদত্যাগ করেন৷

ফলে নতুন কাউকে সিডিইউ প্রধানের দায়িত্ব নিতে হবে৷ ২০১৮ সালে কারেনবাউয়ারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যার্ৎস আবারও নির্বাচন করতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে৷

কে এই ম্যার্ৎস?

ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস একসময় ম্যার্কেলের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন৷ পরে দলের মধ্যে ম্যার্কেলের একজন সমালোচক হয়ে ওঠেন তিনি৷

১৯৮৯ সালে ইউরোপীয় সাংসদ হয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৯৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন জার্মানির সাংসদ৷ এর মধ্যে দুই বছর (২০০০-২০০২) সিডিইউ সংসদীয় দলের প্রধান ছিলেন৷

২০০২ সালে সাধারণ নির্বাচনে সিডিইউর হারের পর ম্যার্ৎসের জায়গায় দায়িত্ব নেন ম্যার্কেল৷ এরপর ২০০৯ সালে রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ম্যার্ৎস৷

২০১৮ সালে সিডিইউ প্রধান নির্বাচনের আগে তিনি আবার রাজনীতিতে ফিরে আসেন৷

মাঝের সময়টায় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কর্পোরেট আইনজীবী ম্যার্ৎস৷ এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে৷ জার্মানি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ‘আটলান্টিক ব্রিজ'-এর চেয়ারম্যান ছিলেন ১০ বছর৷

২০১৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক-এর জার্মান শাখার প্রধান হন ম্যার্ৎস৷ রাজনীতিতে ফেরার লক্ষ্যে চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন৷

ম্যার্ৎস ছাড়াও সিডিইউর প্রধান হিসেবে জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আর্মিন লাশেটকে ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে৷

রাল্ফ বোসেন/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য