1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের আঙুল রাশিয়ার দিকে

২৬ মে ২০২১

বেলারুশের বিমান-কাণ্ডে রাশিয়ার হাত আছে কি না, খতিয়ে দেখছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। আঙুল তুলেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।

https://p.dw.com/p/3txA3
বেলারুশ
ছবি: Andrei Vasilyev/TASS/dpa/picture alliance

রোববার যুদ্ধবিমানের সাহায্যে একটি বিমানকে বেলারুশে নামিয়েছিল সে দেশের প্রশাসন। বোমাতঙ্কের কথা বলে বিমানটিকে রানওয়েতে নামানো হলেও পরে বোঝা যায়, প্রশাসনের উদ্দেশ্য অন্য। দেশের এক সরকারবিরোধী ব্লগার এবং সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করার জন্যই ওই কাজ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনার পরে বেলারুশের বিরুদ্ধে একের পর এক বিবৃতি দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব।

মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জরুরি সভা শেষ করে জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, এই ঘটনায় রাশিয়ার হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইইউ-র বৈঠকেও বিষয়টি উঠেছিল। এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

বস্তুত, ক্রেমলিনের সাহায্য ছাড়া বেলারুশ এত বড় একটি কাণ্ড ঘটাবে, এমনটা মনে করছেন না কূটনীতিকদের একাংশ। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে একই প্রশ্ন তুলেছেন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ম্যার্কেল অবশ্য বলেছেন, রাশিয়ার যুক্ত থাকার বিষয়টি আলোচনায় এলেও এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো তথ্য হাতে আসেনি।

রাশিয়ার প্রতিবাদ

রাশিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে এই ঘটনায় তাদের বিন্দুমাত্র হাত নেই। একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলিকে হিপোক্রিট বলে ব্যাখ্যা করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। তার বক্তব্য, ২০১৩ সালে বলিভিয়ার একটি বিমানকে ঠিক একই ভাবে অস্ট্রিয়ায় নামানো হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল, ওই বিমানে স্নোডেন আছেন। তখন কেউ ঘটনার নিন্দা করেনি।

বেলারুশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আটক সাংবাদিকের দ্রুত মুক্তিও দাবি করা হয়েছিল। তারই মধ্যে ওই সাংবাদিকের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। আটক হওয়ার পর ভিডিওটি তোলা। তা দেখে ফের একবার সাংবাদিকের মুক্তির দাবি তুলেছে ইইউ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)