ম্যাচের পর যা বললেন সাকিব ও কে এল রাহুল
মাত্র পাঁচ রানে ভারতের কাছে হেরেছেন সাকিব। ম্যাচের পর বললেন, যে কোনো হারই দুর্ভাগ্যজনক। কে এল রাহুল বললেন, চাপে ছিলাম।
খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব
বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বারবার করে সাকিবের কাছে জানতে চান, বৃষ্টির পর কি মাঠ খেলার মতো ছিল? লিটন তো দুইবার স্লিপ করেন? সাকিবের জবাব, ''খেলা শুরু করা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। আমরা ক্রিকেট খেলতে গেছি। দুই দলই ২০ ওভার খেলতে চেয়েছিল। এটা ঠিক, মাঠ কিছুটা স্লিপারি ছিল। এটা ব্যাটিং সাইডকে সুবিধা দেয়। আমরা এটাকে অজুহাত করতে চাই না।''
ম্যাচ ডিফাইনিং মোমেন্ট
সাকিব মনে করেন, ''ক্লোজ ম্যাচ হলে অনেক ডিফাইনিং মোমেন্ট থাকে। লিটনের রান আউট, বৃষ্টিতে খেলা থামার পর মোমেন্টাম হারানো ডিফাইনিং মোমেন্ট হতে পারে। তবে বৃষ্টি আমাদের হাতে ছিল না। বৃষ্টির পর নয় ওভারে ৮৫ দরকার ছিল। এসব ক্ষেত্রে সব দল রান করতে পারে। আমরা পারিনি। খুব ক্লোজ ম্যাচ ছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি।''
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানা
সাকিব বলেন, ''আমাদের কাছে কোনো বিকল্প ছিল না।'' তিনি আম্পায়ারকে কিছু বোঝাতে যাননি। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনি কি নদী বা বাংলাদেশের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। সাকিবের জবাব, ''আম্পায়ার বলছিলেন, কত ওভার খেলতে হবে। টার্গেট কী।'' আপনারা মেনে নিলেন? সাকিবের জবাব ছিল, ''অবশ্যই।''
তাড়াহুড়ো করে শট মারা
সাকিবের বক্তব্য, ''পাঁচ ওভারে ৫২ রান দরকার ছিল। এরকম ক্ষেত্রে চেজ করা উচিত ছিল। আমি বিশ্বাস করি, আমরা পারতাম। না পারাটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা প্যানিক করেছি। বেশি করে শট মারতে চেয়েছি। দুই-তিন ওভারে মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলি। নুরুল ও তাসকিন ভালো ব্যাটিং করে খেলায় ফিরেছিল। টি-টোয়েন্টি এমনই। মোমেন্টাম বদলায়। অনেক দল দুই ওভারে ৩০ করে। আমরা করতে পারিনি। আমরা এই ম্যাচের ইতিবাচক বিষয়গুলি নিতে পারি।''
ভারতের সঙ্গে ক্লোজ ম্যাচ
সাকিবের দাবি, ''ভারতের সঙ্গে যখনই খেলছি, ক্লোজ ম্যাচ হচ্ছে। জয়ের খুব কাছে যাচ্ছি। এই ফল ভবিষ্যতে বদলাতে পারব। এই টিম একসঙ্গে খেলতে পারলে বিশ্বাস তৈরি হবে। আমরা জিততে পারব। এই ম্যাচেও ড্রেসিংরুমে রিল্যাক্স ছিলাম। নয় ওভারে ৮৪ রান করতে পারব ভেবেছিলাম। ভুবির ওভার শেষ হয়ে গেছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। আমরা পারিনি। অনভিজ্ঞতা একটা কারণ অবশ্যই।''
শরিফুল ও হাসানকে নিয়ে
শরিফুল ও হাসান মাহমুদ এই ম্যাচে প্রচুর রান দিয়েছে। সাকিব বলেছেন, ''খেলতে খেলতে শিখবে। প্রতি ম্যাচে কেউ ভালো বল করবে, কেউ খারাপ করবে। আমি ব্যক্তিকে নিয়ে মন্তব্য করি না। টিম হিসাবে ভালো ম্যাচ খেলেছি। আর একটু ভালো বল করতে পারতাম। অনভিজ্ঞতার অভাবে হয়নি। ওদের অনেক কিছু শেখার আছে।''
লিটনের ইনিংস নিয়ে
সাকিব বলেছেন, ''দুই তিন বছর ধরে লিটন ভালো খেলছে। টি-টোয়েন্টি এই বছরটা ভালো খেলছে। ওর মনে আত্মবিশ্বাস এসেছে। জানে যে, কীভাবে রান করতে হয়। আমি মনে করি, ওর ক্ষমতা আছে।''
নিজেকে নিয়ে রাহুল
সহ-অধিনায়ক কে এল রাহুল অবশেষে রান পেয়েছেন। অর্ধশতরান করেছেন। ম্যাচের পর বললেন, ''খুব পরিশ্রম করেছি। আমি সবসময় রিল্যাক্স থাকি। নিজের মানসিকতা ঠিক আছে কি না, সেটা যাচাই করে দেখি। প্রতিটি ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ। তিন ম্যাচে রান করতে পারিনি। সেটাই মনে থাকে। তবে হতাশ হইনি।''
ফিল্ডিংয়ে জোর
কে এল রাহুল বলেছেন, ''আমরা প্রশিক্ষণে খুব চেষ্টা করেছি। ফিল্ডিংয়ে জোর দিয়েছি। আমরা থ্রো নিয়ে পরিশ্রম করেছি। দ্রুত রান নেয়ার চেষ্টা করেছি। এ সব কাজে লেগেছে। লিটনের রান আউট তার প্রমাণ।''
প্রথম দিকে পরিকল্পনা কাজ করেনি
রাহুল বলেছেন, ''প্রথম ছয় ওভার আমাদের পরিকল্পনামতো যায়নি। লিটন ভালো খেলেছে। ফলে ওই সময় চাপ থাকে। জানতাম, পাওয়ার প্লে শেষ হলে, আমরা রান কমাতে পারব। বৃষ্টি না হলেও পারতাম। বৃষ্টির পর আমাদের আলোচনা হয়েছে, কোন লেন্থে বল করা উচিত, তা নিয়ে।''
কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ
বিরাট কোহলি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন। কিন্তু ম্যাচের পর কোহলির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান। তিনি বলেছেন, কোহলি ফেক ফিল্ডিং করেছেন। যার জন্য বাংলাদেশকে পাঁচ রান দেয়া উচিত ছিল।