1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোদী-হাসিনা বৈঠকে প্রতিরক্ষা, জল-সহ নানা বিষয়ে সমঝোতা

২২ জুন ২০২৪

মোদী-হাসিনা বৈঠক ও দুই দেশের আলোচনায় প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে গঙ্গার জলবন্টন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা হলো।

https://p.dw.com/p/4hNr5
হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। ২০২২ সালের ছবি।
মোদী-হাসিনা বৈঠকে ও দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর একাধিক বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। ছবি: Naveen Sharma/ZUMA/IMAGO

প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও সেনার আধুনিকীকরণে সাহায্য করবে ভারত। সন্ত্রাসবাদ ও কট্টরপন্থার মোকাবিলায় দুই দেশ সহযোগিতা করবে। গঙ্গার জলবন্টন চুক্তির নবীকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিস্তার সংরক্ষণ নিয়ে শীঘ্রই টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশ সফর করবে।

মোদী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন, তাদের জন্য শীঘ্রই ই-মেডিকেল ভিসা চালু করবে ভারত। বাংলাদেশের মানুষের সুবিধার জন্য রংপুরে অ্যাসিসটেন্ট হাই কমিশন অফিস খোলা হবে।

এছাড়া মহাকাশের ক্ষেত্রে দুই দেশ সহযোগিতা করবে। মৈত্রী উপগ্রহ নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে। ডিজিটাল ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্র নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। ফিরোজগঞ্জে ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপোর কাজ ভারত শেষ করবে।

আগামী ৯ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তার আগে হাসিনাকে পাশে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগর নিয়ে ভারতের ভিশনকে সমর্থন করেছে বাংলাদেশ। সেজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

মোদীর বক্তব্য, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবে। আর ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। ভারতও ২০২৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত হবে।

হাসিনা যা বলেছেন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ''ভারত হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। ভারত বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছে। মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি ভারতের সেনাও শহিদ হয়েছে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।''

হাসিনা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মোদী যোগ দিয়েছিলেন। তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।

হাসিনা বলেন, ''আমি ২০২২ সালে এসেছি। ২০২৩ সালে জি২০ বৈঠকে ভারতের আমন্ত্রণে এসেছি। কয়েকদিন আগে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসেছি। মোদী তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জলবন্টন, জ্বালানি, শক্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা হয়েছে। দুই দেশের বন্ধুত্ব বাড়তে থাকবে।''

মোদীকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হাসিনা।

যে সমঝোতা হয়েছে

দুই দেশের মধ্যে একাধিক সমঝোতাপত্রে সই হয়েছে। তার মধ্যে আছে, ডিজিটাল, গ্রিন পার্টনারশিপ, সমুদ্র ও ব্লু ইকনমি, স্বাস্থ্য, মহাকাশ, মৈত্রী উপগ্রহ, রেল, সমুদ্রবিজ্ঞান ও সামরিক ক্ষেত্র।

জিএইচ/এসজি(ডিডি নিউজ)