1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

মেরিটাইম নিদর্শনের কিংবদন্তি ব্রিটানির বাতিঘর

১৫ জুলাই ২০২২

ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিমের ব্রিটানি এলাকার অনেক বাতিঘর নিয়ে কিংবদন্তি চালু আছে৷ যেমন কোনো বাতিঘর ভুতুড়ে, কোনোটাতে গেলে কর্তব্যরত প্রহরীরা পাগল হয়ে যায় ইত্যাদি৷

https://p.dw.com/p/4EAk3
ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিমের ব্রিটানি এলাকার অনেক বাতিঘর নিয়ে কিংবদন্তি চালু আছে৷ যেমন কোনো বাতিঘর ভুতুড়ে, কোনোটাতে গেলে কর্তব্যরত প্রহরীরা পাগল হয়ে যায় ইত্যাদি৷
ছবি: DW

রা দে সাঁ: ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিমের ব্রিটানির একটি এলাকা৷ বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সমুদ্রপথ এটি৷ অনেক নাবিক সেখান প্রাণ হারিয়েছেন৷

পয়েন ডু রা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সাগরবুকে টেভেনেক বাতিঘর অবস্থিত৷ কেল্টিকদের কাছে টেভেনেকের পাথর পবিত্র হলেও বাতিঘর প্রহরীদের কাছে এলাকাটি অভিশপ্ত ছিল৷ বাতিঘর ও সি-মার্ক সোসাইটির প্রধান মার্ক পয়ান্টু বলেন, ‘‘কেল্টিকরা বিশ্বাস করতো, এখানে মৃতরা সাগরে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের আত্মা সংগ্রহ করে পরবর্তী জীবনে নিয়ে যেত৷ ১৮৬০ সালে যখন এখানে বাতিঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল তখন সবাই বিরোধিতা করেছিল৷ সবার মনে হয়েছিল এলাকাটা ভুতুড়ে৷ বাতিঘরের কোনো প্রহরীই সেখানে বেশিদিন থাকতে পারেননি৷ অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷ কেউ যখন আর সেখানে কাজ করতে চায়নি তখন বাতিঘরটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়৷ ফ্রান্সের সরকার তখন এটি কোনো প্রহরী ছাড়াই চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়৷ গ্যাস সিলিন্ডার ও বড় ট্যাঙ্ক বসানো হয়৷ ১৯১০ সাল থেকে টেভেনেক দিন রাত ২৪ ঘণ্টা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু আছে৷’’

শুধু টেভেনেক নয়, আরো অনেক বাতিঘরেরও বিশেষ ইতিহাস আছে৷

ফ্রান্সের অভিশপ্ত বাতিঘর

মিশেল প্লুইনেক-ব্লেওমেল অনেক বাতিঘরে প্রহরী হিসেবে কাজ করেছেন৷ কয়েক প্রজন্ম ধরে তার পরিবার বিভিন্ন বাতিঘরে কাজ করেছে৷ তার পূর্বসূরিদের ইতিহাসে টেভেনেকও আছে৷ তার প্রো-প্রোপিতামহ সেখানে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছর কাজ করেছেন৷ তাই ব্লেওমেল এসব কিংবদন্তি ভালোই জানেন৷ ব্লেওমেল বলেন, ‘‘তারা অনেক কথা বলে: বাতিঘরটা ভুতুড়ে, সেখানে নানা ধরনের অদ্ভুত শব্দ হয়, প্রহরীরা পাগল হয়ে যায়৷ কিন্তু বাস্তবে কেউ পাগল হয়েছে বলে আমি শুনিনি৷ তবে এটা দারুন যে, পানির মধ্য থেকে এমন একটি পাথর উঠে এসেছে, পশ্চিম দিক থেকে ঢেউ সেখানে আছড়ে পড়ছে৷ বাইরে থেকে দেখলে অনেকটা ‘আর মেন' বাতিঘরের মতো মনে হয়৷’’

তবে সমতলে যে বাতিঘরগুলো আছে সেগুলো আসলে ভাল লাগার মতো৷ যেমন পয়ন্ট ডে পেনমার্কের ‘একম্যুল' বাতিঘর৷ ১৮৯৭ সালে নির্মিত ৬০ মিটার উঁচু একম্যুল ইউরোপের অন্যতম উঁচু বাতিঘর৷

মার্ক পয়ান্টু বলেন, ‘‘মেরিটাইম মন্যুমেন্ট কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয় তার একটা ভাল উদাহরণ একম্যুল৷ সব বাতিঘর ও নেভিগেশন চিহ্নের মধ্যে এটি একটি আসল রত্ন৷ খুব সুন্দর একটি টাওয়ার, ভেতর-বাহির সবদিক থেকেই৷ এটি এখন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত৷ সবার জন্য খুলে দেয়ার এই পরিকল্পনা সফল হয়েছে৷ কারণ পর্যটকদের মধ্যে আগ্রহ আছে৷ দারুন ব্যাপার৷ ১৯ শতকের শেষ থেকে ২০ শতকের শুরুর সময়ের মধ্যে এমন বাতিঘর নির্মাণ সত্যিই এক দারুন অর্জন৷’’

স্টেফানে নিকোল, ডরোথেয়া প্রেশ/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান