মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের করোনা টিকা দেওয়া হবে
২৭ আগস্ট ২০২১২০১৭ সালের পর থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। মিয়ানমার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, নাগরিক হিসাবে সেখানে পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ঝাও মিন তুন জানান যে, করোনা সংক্রমণ কমাতে ও টিকাদানের হাড় বাড়াতে সচেষ্ট রয়েছেন তারা। তিনি আরো বলেন যে, এই টিকাদান প্রকল্পের আওতা থেকে বাদ পড়বে না কেউ। বিশেষ করে, বাংলাদেশের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা মাউংদাও ও বুথিদাউং-এ বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ঝাও মিন তুন তাদের ‘বাঙালি' হিসেবে বর্ণনা করেন। মিয়ানমারের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি' বলার চল কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। তাদের অনেকের মতে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নন, বরং বাংলাদেশ থেকে আসা অনাহূত অভিবাসী।
কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে ঝাও মিন তুন বলেন, ‘‘তারাও আমাদেরই লোক। আমরা এই কাজে কাউকে পেছনে ফেলে রাখবো না।’’
তবুও এখনো স্পষ্ট নয় রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগণের কাছে এই টিকা পৌঁছাবে কিনা। পাশাপাশি, টিকা গ্রহণের জন্য কী কী নথির প্রয়োজন হবে, তা-ও জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
রোহিঙ্গা ইস্যুর দীর্ঘসূত্রিতা
চলতি মাসের শুরুতেই, মিয়ানমার সরকার জানায় যে, টিকাদানের পরিকল্পনায় রোহিঙ্গাদের কোনো স্থান নেই।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে, যার প্রভাব বাংলাদেশেও এসে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো মনে করে, অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের মর্যাদা দেয়া উচিত। জাতিসংঘও রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমার রাষ্ট্রের আচরণের সমালোচনা করেছে।
এসএস/এসিবি (রয়টার্স)