মিয়ানমারে পুলিশের তাণ্ডব
রোববার মিয়ানমারে পুলিশের আক্রমণে ১৮ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা তাতেও দমেননি। আন্দোলন চলছে গোটা দেশ জুড়ে।
আন্দোলন অব্যাহত
গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে সেনা। তারপর থেকেই গণতন্ত্রপন্থিরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছে।
আন্দোলনে যুব সমাজ
মূলত ছাত্র এবং যুব সমাজের বড় অংশ এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং জেলবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
পুলিশের সহিংসতা
প্রথম দিন থেকেই কড়া হাতে আন্দোলনকারীদের মোকাবিলা করছে পুলিশ। লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে। জল কামান ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী, রবার বুলেটও ব্যবহার করা হয়েছে।
ভয়াবহ রোববার
রোববার পুলিশের সব চেয়ে সহিংস চেহারা দেখা যায়। পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
হাসপাতালেও হামলা
আন্দোলনকারীদের দাবি, আহত বিক্ষোভকারীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে গিয়েও তাণ্ডব চালায় পুলিশ। আহত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেফতার বহু
প্রতিদিনই আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। সেনা শাসকরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের জন্য গ্রেফতার হলে এখনই মুক্তি মিলবে না। আপাতত জেলেই থাকতে হবে।
বিশ্বের নিন্দা
অ্যামেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিশ্বের একাধিক দেশ পুলিশ এবং সেনার নিন্দা করছে। কিন্তু তাতেও হেলদোল নেই সেনা শাসকদের।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি
রোববারের ঘটনার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনা এবং নিরাপত্তবাহিনীর আচরণ বরদাস্ত করা যায় না। সমস্ত মৃত্যুর দায় তাদের নিতে হবে। অ্যামেরিকা সাহসী গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের পাশে আছে।