1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার সফরে হিলারি ক্লিন্টন

১ ডিসেম্বর ২০১১

গত ৫০ বছরে কোন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই হল প্রথম মিয়ানমার সফর৷ এই ঐতিহাসিক সফরে মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন হিলারি ক্লিন্টন৷

https://p.dw.com/p/13Kma
Secretary of State Hillary Rodham Clinton waves prior to boarding her airplane at Andrews Air Force Base in Md., Monday, Nov. 28, 2011, before her departure to South Korea and Myanmar. (AP Photo, Saul Loeb, Pool)Secretary of State Hillary Rodham Clinton waves prior to boarding her airplane at Andrews Air Force Base in Md., Monday, Nov. 28, 2011, before her departure to South Korea and Myanmar. (AP Photo, Saul Loeb, Pool)
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনছবি: dapd

গত ৫০ বছরে এই প্রথম কোন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিয়ানমার সফর করছেন৷ মিয়ানমারের জন্য তা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? মিয়ানমারের জন্য তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতদিন ধরে সামরিক জান্তার অধীনে আছে এই দেশ৷ তবে এই জান্তা দেশটাকে একটু একটু করে খুলে দিচ্ছে৷ সেই কারণেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে গেছেন সেখানে৷ গণতন্ত্রের কোন সুযোগ সেখানে ছিল না৷ তাই গণতন্ত্রের পথকে আরো প্রশস্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন হিলারি৷ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান তিনি৷ এছাড়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেসামরিক সংযোগ ছিন্ন করারওপরও জোর দিয়েছেন ক্লিন্টন৷ তিনি সংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি যে, রাজনৈতিক বন্দী সে যেখানেই থাকুন না কেন তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া উচিৎ৷''

মিয়ানমারে পৌঁছে হিলারি ক্লিনটন প্রথমেই প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ নতুন রাজধানীতে সরকারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারও সেসময় উপস্থিত ছিলেন৷ ক্লিন্টন জানান,‘‘অ্যামেরিকার সঙ্গে মিয়ানমারের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করা যায় কিনা আমি তা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছি৷'' তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার সরকারকে সব ধরণের সাহায্য সহযোগিতা আমরা করবো তবে একটি শর্তে এবং তা হল – মিয়ানমারকে সবসময় গণতন্ত্রের পথ নিতে হবে৷ মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত৷ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে কিনা ত নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না৷ তবে সবকিছু সবে শুরু হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে এগোতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ এর পাশাপাশি তিনি জানান, অ্যামেরিকা দেখতে চায় মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক কেমন৷

সু চির সঙ্গে ডিনার

অং সান সু চির সঙ্গে আজ ডিনার হিলারি ক্লিন্টনের৷ সু চি'র রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র নিয়ান উইন জানান,‘‘অ্যামেরিকা থেকে যেসব সাহায্য ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা নিঃসন্দেহে দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরো গভীর করবে৷ আমি বিশ্বাস করি মিয়ানমার সরকার ভবিষ্যতে তার সংস্কার নীতিকে আরো প্রশস্ত করবে৷''

মিয়ানমায়ের ওপর চীনের প্রভাব কমানোর চেষ্টায় হিলারি মিয়ানমার সফর করছেন,এ রকম ধারণা পুরোপুরি উড়িয়ে দেন তিনি৷ তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে কোন ধরণের প্রতিযোগিতায় আমরা নেই, নামতেও চাই না৷ আমি এই সফরের মাধ্যমে মিয়ানমার এবং অ্যামেরিকার মধ্যে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই৷ চীনের সঙ্গে তার প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক যদি ভাল হয় তাহলে তা গোটা অঞ্চলের জন্যই একটি শুভ সংবাদ৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দু্ল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য