1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার: যুক্তরাজ্য ও ক্যানাডার নিষেধাজ্ঞা

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অ্যামেরিকা আগেই করেছিল, এবার মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাজ্য ও ক্যানাডার।

https://p.dw.com/p/3pZrK
ইয়াঙ্গনে সু চি-র মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: AP Photo/picture alliance

মিয়ানমারের জেনারেলরা যুক্তরাজ্যে ও ক্যানাডায় ঢুকতে পারবেন না। ওই দুই দেশে তাঁদের সম্পত্তিও ফ্রিজ করে দেয়া হয়েছে। ফলে ওই সম্পত্তি তাঁরা আপাতত ভোগ করতে পারবেন না। মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করার জন্য এই ব্যবস্থা নিল যুক্তরাজ্য ও ক্যানাডা। এর আগে অ্যামেরিকা একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

ব্রিটেন তিনজন জেনারেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাঁরা হলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিয়া টুন ও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোই এবং তাঁর ডেপুটি থান হ্লাইং। ক্যানাডা প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি সাতজন সেনা কর্মকর্তার সম্পত্তি ফ্রিজ করার কথা জানিয়েছে। ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। সেনা সেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মানছে না। তাই ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া জরুরি।

জাপান জানিয়েছে, ভারত, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে গঠিত কোয়াড গ্রুপ মিয়ানমারে সেনা-শাসনের তীব্র বিরোধিতা করছে।

মিয়ানমারে অং সান সু চি-র মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলছে। রেল কর্মীরা প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন। সু চি-র দলের কর্মীরাও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সু চি সহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।

আরো ব্যবস্থা দরকার

ডিডাব্লিউর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কেনেথ রথ জানিয়েছেন, এই সিনিয়র জেনারেলদের টার্গেট করার অর্থ হলো, সেনা যে ব্যবসা চালায় এবং যার অর্থে তারা অভ্যুত্থান করেছে, সেই সোর্স বন্ধ করে দেয়া। কিন্তু সেনা শাসকদের পকেটে অর্থ আসা বন্ধ করতে গেলে মিয়ানমার ইকনমিক হোল্ডিং লিমিটেড ও মিয়ানমার ইকনমিক কর্পোরেশনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

রথের মতে, মিয়ানমারের সেনা যে বিক্ষোভকারীদের দিকে চলে আসতে পারে, সেই লক্ষ্যণ দেখা যাচ্ছে।

অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে

মিয়ানমারের অনেক সরকারি কর্মী আন্দোলনে, বেসরকারি ব্যাঙ্ক বন্ধ, রেল কর্মীরাও অসহযোগে নেমেছেন। এর ফলে দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ টম অ্যান্ড্রুজ। তাঁর মতে এখন কড়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপ দরকার।

মান্দালয়ে এখন কার্ফিউ চলছে। গত রাতে সেখানে রেল কোয়ার্টারের দিকে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। উত্তর মিয়ানমারে ২০০ জন গ্যাস-কর্মী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। অসমর্থিত খবর হলো, তাঁদের লক্ষ্য করে রবার বুলেট চালানো হয়েছে। ইয়াঙ্গনে নিরাপত্তা বাহিনী যাতে আসতে না পারে, সে জন্য বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় গাড়ি রেখে চলে যাচ্ছেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)