মিয়ানমার অভ্যুত্থানের একবছর: আরো নিষেধাজ্ঞা
১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ঠিক এক বছর আগে সেনা বিদ্রোহে ক্ষমতা হারিয়েছিল মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার। ক্ষমতা দখল করেছিল সেনা জুন্টা। এরপর বহু ঘটনা ঘটে গিয়েছে মিয়ানমারে। বহু মানুষের প্রাণ গেছে। মিয়ানমারের প্রধান নেতা অং সান সুচিকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশের প্রশাসন।
অভ্যুত্থানের পরেই মিয়ানমারের সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য-সহ একাধিক পশ্চিমা দেশ। এক বছর পর ফের নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হলো। মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল থিডা উ, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টুন টুন উ, অ্যান্টি কোরাপশন কমিশন চেয়ারম্যান টিন উ-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা যৌথভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে সুচির বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি জেলের শাস্তি ভোগ করছেন। এবার তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি, দেশের তথ্য বাইরে পাচার করার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। ফের তার বিচার শুরু হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ৭৫ বছরের সুচির বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি প্রমাণিত হলে তার ১০০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিচারের নামে প্রহসন চলছে মিয়ানমারে। ফলে কয়েকমাসের মধ্যেই মিয়ানমার প্রশাসন সুচির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগগুলি আদালতে প্রমাণ করে দেবে।
গত একবছরে প্রবল সংকটের মধ্যে কাটিয়েছেন মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশের গণতন্ত্রপন্থিরা লাগাতার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। এখনো পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের অত্যাচারে। এখনো আন্দোলন চলছে। তারই মধ্যে সুচির বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)