1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিষ্টি খাবেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯

পাকিস্তানে চলমান চিনি সংকটের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর বাড়িতে মিষ্টি জাতীয় খাবার না রান্না করার নির্দেশ দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/Jcja
ফাইল ফটোছবি: AP

এর আগে অবশ্য তিনি মন্ত্রী পরিষদের এক বৈঠকে পাকিস্তানে কেনো চিনির দাম বেড়েছে তা তদন্ত এবং এবিষয়ে ১০ দিনের মধ্যে সুপারিশ দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন৷ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই তথ্য দেয়া হয়৷

রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে থেকেই পাকিস্তানে চিনির দাম বাড়তে থাকে৷ সারাদিন রোজা রাখার পর একগ্লাস সরবত বা মিষ্টি জাতীয় খাবার দিয়েই রোজা ভাঙতে অভ্যস্ত পাকিস্তানের অধিবাসীরা৷ আর তাই রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে চিনির দাম প্রতিবছরই বাড়ে৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ রমজানের আগে চিনির দাম বেড়ে রাতারাতি ৩৮ রুপি থেকে ৫৪ রুপিতে গিয়ে ঠেকে৷ সরকার যথেষ্ট পরিমাণ চিনি মজুদ আছে এটি নিশ্চিত করার পরও, চিনির দাম জনগণের নাগালের বাইরে চলে যায়৷

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ইউসুফ রাজা গিলানি দেশের জনগণকে কম চিনি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রী কামার জামান কাইরে বুধবার বলেন, মানুষ কম চিনি কিনলেই চিনির চাহিদা কমবে৷ আর তখন মজুদদার বা বিক্রেতারা দাম কমাতে বাধ্য হবে৷

পাকিস্তানের সরকার বারবার বলছে, দেশে কোন চিনি সংকট নেই৷ তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য দায়ী মজুদদারি৷ ব্যাবসায়ীরা চিনির দাম বৃদ্ধির জন্য চিনি মজুদ করে রাখেছেন৷ যাকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘কৃত্রিম সংকট'৷ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার খোলা বাজারে সরকারি দোকানের মাধ্যমে ৪০,০০০ থেকে ১০০,০০০ টন চিনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রোজার আগেই৷ তবুও দাম থেকে যায় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই৷

স্থানীয় পত্রিকাগুলো এটিকে একটি কঠিন সময় হিসাবে উল্লেখ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷

সরকারি হিসাব মতে, পাকিস্তানে প্রতি বছর মাথাপিছু চিনির ব্যবহার ২৫ কিলোগ্রাম৷ যা কিনা ভারত, চীন বা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক