1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর একটি মমি সহ ১৪টি সমাধি আবিস্কার

১৩ এপ্রিল ২০১০

মিশরে প্রত্নতত্ত্ববিদরা খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর একজন মহিলার মমি সহ ১৪টি সমাধি আবিস্কার করেছেন৷ মমিটি স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে মোড়ানো ছিল বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/Mv1V
ছবি: AP

রাজধানী কায়রো থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বাহারিয়া মরুভূমিতে একটি যুবকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে খোঁড়াখুঁড়ি করার সময় সমাধিগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়৷

মিশরের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় মনে করছে, ঐ স্থানে বড় কোন সমাধিক্ষেত্র থাকতে পারে৷ ১৯৯৬ সালে এই বাহারিয়া মরুভূমি থেকে ২৫৪টি মমি সহ ১৭টি সমাধি আবিস্কার করা হয়েছিল৷

জানা গেছে, রঙিন প্রলেপে মোড়ানো মমিটি দৈর্ঘ্যে ৩৮ ইঞ্চি লম্বা৷ প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, তাঁরা সমাধি ছাড়াও আরও বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস উদ্ধার করেছেন৷ এ কারণে স্থানটি এখন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দায়িত্বে দিয়ে দেয়া হয়েছে৷

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, চারটি মানুষের মুখের আকৃতির মুখোশ, প্রাচীন মিশরের দেবতা হোরাসের চার সন্তানের ছবি খোদাই করা সোনার টুকরা, কিছু মুদ্রা এবং মাটি ও কাচ দিয়ে তৈরি বড় নৌকা খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা৷

উল্লেখ্য, হোরাসের ঐ চার সন্তান-- ইমসেটি, দুয়ামুতেফ, হাপি ও কেবেহসেনুফ-- মিশরের প্রাচীন দেবতা ছিলেন৷ এঁদের মুখ খোদাই করা ঐ স্বর্ণের টুকরোগুলো এটাই প্রমাণ করে যে গ্রেকো-রোমান যুগের উপরেও মিশরীয় ধর্মবিশ্বাসের অনেক প্রভাব ছিল৷

ধারণা করা হত, দেবতারা মমি করে রাখা মরদেহগুলোর ফুসফুস, হৃৎপিন্ড, লিভার ও পাকস্থলী সতেজ রাখতেন৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক