1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশর ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনল

২০ আগস্ট ২০১১

কায়রো মন্ত্রিসভা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ পাঁচ মিশরীয় সীমান্তরক্ষীর মৃত্যুর পর দু’দেশের সম্পর্কে যে সংকট দেখা দিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে মুবারকের পতন যাবৎ তা তীব্রতম৷

https://p.dw.com/p/12Kbm
কায়রোতে ইসরায়েলের পতাকা পোড়ানো হচ্ছেছবি: picture alliance/dpa

এর পরপরই ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এহুদ বারাক৷

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের আইলাত শহরের কাছে আটজন ইসরায়েলি প্রাণ হারায়৷ ইসরায়েল সেই আক্রমণের জন্য একটি জঙ্গি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে দায়ী করে এবং বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাজা স্ট্রিপে একাধিক বিমান হানা চালায়৷ এই পাল্টা আক্রমণে ১৪ জন মানুষ নিহত হয়৷ তার মধ্যে ঐ ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতারাও ছিল৷ দৃশ্যত এই গোষ্ঠীর হামাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই৷

শুক্রবারের আরেকটি গুরুতর ঘটনা: ইসরায়েলি সৈন্যরা সীমান্ত পেরিয়ে আসা আক্রমণকারিদের পিছনে ধাওয়া করার সময়ে সৈন্যদের গুলিতে মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচজন সদস্য নিহত হয়৷ সেদিন সন্ধ্যা থেকেই কায়রোয় ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ চলেছে৷ অপরদিকে গাজা স্ট্রিপ থেকে ইসরায়েলের ওপর রকেট ছোঁড়াও থেমে নেই৷ তা'তে দক্ষিণ ইসরায়েলে তিনজন মানুষ আহত হয়েছে৷

Erneute Gewalt zwischen Israel und Palästinensern August 2011
ইসরায়েলি আঘাতে বিধ্বস্ত মোটর সাইকেলছবি: dapd

মিশরীয় মন্ত্রিসভার ক্ষোভের আরেকটি কারণ: ইসরায়েলি বিবৃতি অনুযায়ী আততায়ীরা গাজা থেকে মিশরের সিনাই উপদ্বীপ হয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে৷ পরোক্ষভাবে: মিশর সিনাই উপদ্বীপের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে, যে অভিযোগ কায়রো মন্ত্রীসভার পক্ষে বরদাস্ত করা সম্ভব নয়৷ তাই ইসরায়েলের কাছ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করা হয়েছে৷

সিনাই মরুভূমি মিশর এবং ইসরায়েলের মধ্যে বাফার বিশেষ৷ ১৯৭৯ সালের শান্তি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল এই সীমান্তে সীমিত সংখ্যক সৈন্য নিয়োগ করতে পারে৷ হোসনি মুবারকের পতনের পরও ঐ শান্তি চুক্তি ‘‘ইসরায়েলের অস্তিত্বের একটি বুনিয়াদী উপাদান'', বলেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আমোস গিলাদ৷ গিলাদ আরো জানান যে, কার গুলিতে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিহত হয়েছে, তদন্তে তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি৷

মিশর এর আগেও তেল আভিভ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে, যেমন ১৯৯২ সালে ইসরায়েল যখন লেবাননে অনুপ্রবেশ করে এবং ২০০০ সালে, যখন ইসরায়েল গাজার উপর ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করে৷ বিশ্লেষকদের মতে, এবারেও মিশর কিংবা ইসরায়েলের বিরোধটাকে আর বাড়তে দেবার অভিপ্রায় নেই৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য