1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিট রমনি বলছেন বটে, পারবেন তো!

১ নভেম্বর ২০১২

কার পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে তা জানাতে কথা কম বলছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিপক্ষ মিট রমনি৷ কিন্তু আসলে কি খুব পরিবর্তন হবে কিছুতে? সম্ভাবনা ক্ষীণ৷

https://p.dw.com/p/16CTo
June 12, 2012 - Orlando, Florida, U.S. - GOP presidential contender MITT ROMNEY delivers remarks during a town hall meeting at Con-Air Industries, an air filtration business in front of a sign that reads 'Repeal Replace Obamacare
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS.com

নির্বাচনি প্রচারনায় খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ওবামা আর রমনি৷ কথা কেউ কম বলছেন না৷ সব বিষয়েই ভোটারদের আশ্বস্ত করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ অর্থনীতির পর বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বোধহয় পররাষ্ট্রনীতি৷ সেখানে রিপাবলিকান প্রার্থী রমনির আশ্বাস, তিনি নির্বাচিত হলে আরেকটা ‘যুক্তরাষ্ট্রের শতক' শুরু হবে৷ কিন্তু কিভাবে? রমনি বলছেন, স্বচ্ছতা আর সংকল্প নিয়ে কাজ করলেই সেটা সম্ভব৷

ওবামা নির্বাচিত হবার পরও প্রায় এমন স্বপ্নই দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ৷ বরাবরের মতো তখনও তাঁদের আশা ছিল বিশ্বনেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান আরো সুদৃঢ় করবে, সারা বিশ্বে প্রভাব বাড়বে আরো৷ কিন্তু বাস্তবে অনেকটা উল্টো হয়েছে৷ আফগানিস্তানে লেজে-গোবড়ে অবস্থা, ইরাক ইস্যুতেও যা হাল তাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই গর্বের কিছু দেখছেন না৷ এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ২৪ ভাগ মানুষ মনে করেন তাদের দেশ কয়েক দশক আগে বিশ্বজুড়ে যতটা প্রভাব বিস্তার করতো এখন তার ধারে কাছে আছে৷

FILE - In this May 1, 2011 file photo, President Barack Obama reads his statement to photographers after making a televised statement on the death of Osama bin Laden from the East Room of the White House in Washington. After an extraordinary week of events in the United States and abroad, one thing is clear: Osama bin Laden's death at the hands of American forces has the potential to ripple out into global affairs in countless ways _ political and military, diplomatic and cultural, and of course national security in the United States. (AP Photo/Pablo Martinez Monsivais, File).
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাছবি: dapd

অর্থাৎ ওবামার পররাষ্ট্রনীতি যে মার খেয়েছে তা প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত জরিপেই৷ তবে কিছু ক্ষেত্রে ওবামার কৌশল যে কাজে এসেছে তা ঠিক৷ কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্টের জন্য দুঃখজনক হলো, সেগুলোর জন্যও সমালোচিতই হতে হচ্ছে তাঁকে৷ এ প্রসঙ্গে উঠে আসছে লিবিয়া প্রসঙ্গ৷ গাদ্দাফিকে হঠাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কিছু করেনি৷ কিন্তু আড়াল থেকে যে কলকাঠি নেড়েছে তা এখন সবারই জানা৷ নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনকে ওবামা প্রশাসনের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই বলে ফেলেছিলেন, ‘পুরো ব্যাপারটায় পেছন থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওবামা৷'

এই পেছন থেকে নেতৃত্ব দেয়াটা একদমই বরদাশত করতে পারেন না যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ৷ ক'দিন আগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইস ওবামার পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে বলেছেন, ‘নেতৃত্বের ব্যাপারে দোনোমনা হলে চলে না৷ পেছন থেকে তো নেতৃত্ব দেয়া হয় না৷' রমনির মুখে এখন তাই প্রকৃত নেতাসুলভ কথা৷ স্বচ্ছতা আর সংকল্প দিয়ে কাজ করে নতুন এক ‘অ্যামেরিকান সেঞ্চুরি' শুরু করবেন৷ কিন্তু পারবেন তো?

জোসেফ ব্রামল মনে করেন পারা প্রায় অসম্ভব৷ জার্মান কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত এই ভদ্রলোক বলছেন, দেশটি যখন একই থাকবে, বাস্তবতাও বদলাবেনা, তাই ক্ষমতায় গিয়েই রমনি পরিস্থিতি পাল্টে দেবেন এ আশা করাই বোকামি৷ অর্থনৈতিক মন্দার ধকল সামলাতে হিমশিম খাওয়া দেশটিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা নিরব এক অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ৷ প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেট দলের, প্রশাসনেও সেই দলেরই দাপট, কিন্তু হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে রিপাবলিকানদের প্রাধান্য৷ জোসেফ বামল মনে করেন, দেশের ভেতরে ডেমোক্রেট আর রিপাবলিকানের এই দ্বন্দ্বকে পাশ কাটিয়ে ওবামা বা রমনি কারো পক্ষেই এগিয়ে চলা সম্ভব নয়৷

মোট কথা আশ্বাস, প্রত্যাশা, বাস্তবতা আর প্রাপ্তি সবসময় এক হয় না৷ হয় না যে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ওবামা৷ নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠিয়েছেন, সম্মতি দিয়েছেন ইয়েমেন আর পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানোয়৷ ভাবা যায়!

প্রতিবেদন: স্পেন্সার কিমবল/এসিবি

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য