1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা

৯ জানুয়ারি ২০২০

কাশ্মীর ও সিএএ নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বানিজ্যিক বিধিনিষেধ চালু করল মোদী সরকার৷

https://p.dw.com/p/3VvTI
ছবি: Reuters/A. Abidi

কাশ্মীর ও সিএএ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ৷ তাঁকে এ বার মুখ খোলার খেসারত দিতে হচ্ছে৷ তাঁর মন্তব্যে রীতিমতো অখুশি মোদী সরকার মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল কেনার ওপর বিধিনিষেধ চালু করল৷ প্রধাণত, মালয়েশিয়াকে শিক্ষা দিতেই অশোধিত পাম তেলের আমদানিকে 'নিয়ন্ত্রিত' তালিকায় রাখা হয়েছে৷ এতদিন এই আমদানি 'ফ্রি' ছিল৷ তার মানে ভারত এখন শুধু অশোধিত পাম তেল আমদানি করবে, পরিশেোধিত পাম তেল নয়৷ এতেই মালয়েশিয়া ধাক্কা খাবে৷ সুবিধা হবে ইন্দোনেশিয়ার৷ কারণ, ভারতইন্দোনেশিয়া থেকে মূলত অপরিশোধিত পাম তেল  ও পামোলিন আমদানি করে৷ আর পরিশোধিত পাম তেল আসতো মালয়েশিয়া থেকে৷

নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিজনেস এডিটর জয়ন্ত রায়চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''মালয়েশিয়াকে শিক্ষা দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ কিছুদিন থেকেই মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলির সঙ্গে চুক্তির নবীকরণ করা হচ্ছিল না৷ বরং ইন্দোনেশিয়ার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছিল৷  মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বানিজ্যিক ব্যবস্থা নেওয়ায় মোহাথির অসুবিধায় পড়বেন, ভারতের কিছু হবে না৷ কারণ, ভারত তো ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেল পেয়েই যাচ্ছে৷''

কী বলেছিলেন মাহাথির, যার জেরে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল? গত অক্টোবরে মাহাথির বলেছিলেন, কাশ্মীরে হানা দিয়ে তা দখল করে রেখেছে ভারত৷ গত মাসে তিনি বলেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জন্য  ভারতে  অশান্তি দেখা দিয়েছে৷ ঘটনা হল, সচরাচর অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সচরাচর মন্তব্য করেন না৷ এর ব্যতিক্রম নেই তা নয়, তবে নিজের দেশের স্বার্থবিরোধী না হলে অন্য কোনও দেশ সংসদে অনুমোদিত কোনও আইন সম্পর্কে মুখ খোলে না৷ মাহাথির অবশ্য সে সবের তোয়াক্কা না করে সরাসরি কাশ্মীর ও সিএএ নিয়ে বলেছেন৷ এতেই প্রবল চটেছে মোদী সরকার৷ বানিজ্য বিধিনিযেধ সে জন্যই৷ জয়ন্ত রায়চৌধুরীর মতে, 'এটা অন্য দেশের প্রতি একটা বার্তাও৷'

ভারতের মতো বাজার, বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে৷ তাই ভারতের বিরোধিতা করার আগে অন্যদেরও দু-বার ভাবতে হয়৷ মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল সবথেকে বেশি পরিমাণে ভারতেই আসত। তাই এই সিদ্ধান্ত আর্থিক দিক থেকে তাঁদের সমস্যায় ফেলবে৷

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স)