1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

মার্কিন হুমকির জবাব দিল ইরান

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অ্যামেরিকা আক্রমণ করলে তার জবাব দেওয়া হবে। ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

https://p.dw.com/p/4buGg
জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি
জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরাছবি: Planet Labs PBC/picture alliance

রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি বলেছেন, ''অ্যামেরিকার হুমকি আমরা শুনেছি। এমন নয় যে অ্যামেরিকা প্রথম এমন হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা দুই পক্ষই দুই পক্ষকে চিনি। ফলে অ্যামেরিকা যেন মনে রাখে, তারা আক্রমণ করলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে।''

ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, ''ইরানের উপর আক্রমণ হলে সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দেওয়া হবে।'' তার বক্তব্য, অ্যামেরিকা এইভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আগেও ইরানের উপর শক্তি প্রয়োগ করেছে অ্যামেরিকা। তাতে লাভ হয়নি। একমাত্র সমাধানসূত্র রাজনৈতিক আলোচনায়।

অ্যামেরিকার বক্তব্য

মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, জর্ডানে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে যে আক্রমণ হয়েছিল, তার জন্য দায়ী ইরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর। এর জবাব দেওয়া হবে। তবে নানা স্তরে সেই জবাব দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরো একটি যুদ্ধ তিনি চান না। কৌশলী আক্রমণ চালানো হবে অপরাধীদের উপর। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে নামবে না অ্যামেরিকা।

হোয়াইট হাউসে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, বহু স্তরীয় আক্রমণ চালানো হবে। সমস্ত কৌশল বাইডেনের উপস্থিতিতে তৈরি করা হচ্ছে। বুধবার হোয়াইট হাউস আবার জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টা হয়ে যাওয়ার পরেও আক্রমণ হচ্ছে না মানে এই নয় যে, আক্রমণ হবে না। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। অতি শীঘ্রই দেওয়া হবে। বস্তুত, এদিন আক্রমণকারীদের বিষয়ে আরো স্পষ্ট তথ্য দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তাদের বক্তব্য, ইরানের মদতে একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। একই ছাতার তলায় তারা অবস্থান করছে। তারাই জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইরান এই গোষ্ঠীগুলিকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে বলে অভিযোগ।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি ইসরায়েল গাজা অভিযান শুরু করার পর সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করেছে। ওই জায়গাগুলিতে বার বার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এমনকী তারা জর্ডানেও আক্রমণ চালিয়েছে। এদিকে অ্যামেরিকা বুধবার জানিয়েছে, হুতি যোদ্ধাদের একটি রকেট তারা ধ্বংস করেছে। অভিযোগ, ওই মিসাইলটি লঞ্চিং প্যাডে বসানো হচ্ছিল। আগাম খবর পেয়ে অ্যামেরিকা সেখানেই মিসাইলটি ধ্বংস করেছে।

এদিকে বুধবার রাতে সিরিয়ায় আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। সিরিয়ার সেনার বেশ কিছু সামরিক কাঠামো তারা ধ্বংস করেছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। সিরিয়া থেকে ইসরায়েলে আক্রমণ চালানো হচ্ছিল বলে তাদের অভিযোগ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)