1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষ ছাড়াই অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতা!

৯ অক্টোবর ২০২০

গাড়ির রেস, লং জাম্প, ট্রায়াথলন – সব ক্রীড়ায় পারদর্শী মানুষ নিশ্চয় নেই৷ তবে নেদারল্যান্ডসের দুই ভাই একটি বস্তুকে এ সব ক্ষেত্রে সেরা করে তুলেছেন৷

https://p.dw.com/p/3jf4P
ছবি: DW

‘মার্বুলা ওয়ান’ এক অন্য স্বাদের ফর্মুলা ওয়ান প্রতিযোগিতা৷ সেখানে ১৬টি মার্বেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়৷ শুধু গাড়ির রেস নয়, অ্যাথলিট হিসেবে লং জাম্প থেকে ট্রায়াথলনের মতো অনেক ক্ষেত্রে পারদর্শী এই বস্তুটি৷ প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ ইউটিউবে সেই প্রতিযোগিতা দেখেন৷

আমস্টারডাম থেকে প্রায় এক ঘণ্টা দূরে অবস্থিত সোয়াগডাইক থেকে প্রতিযোগিতার জন্য মার্বেল প্রস্তুত করা হয়৷ ডিয়ন বাকার সেই মার্বেল রেসের উদ্যোক্তা৷ তিনি বলেন, ‘‘এ এক ধরনের জাদু৷ মনেই থাকে না, মার্বেল দিয়ে খেলা হচ্ছে৷ মনে হয়, আসল ক্রীড়া, আসল অ্যাথলিট নিয়ে সবকিছু হচ্ছে৷ ধারাবিবরণী, বিলবোর্ড – সব মিলিয়ে আসল ক্রীড়ার স্বাদ পাওয়া যায়৷’’

মার্বেলের ফর্মুলা ওয়ান!

ইয়েলে ও ডিয়ন বাকার নামের দুই ভাই এই প্রকল্পের নেপথ্যে রয়েছেন৷ তাঁদের চ্যানেলের নাম ‘ইয়েলেস মার্বেল রান'৷ ছোট ছোট ভিডিওর জন্য খুঁটিনাটি বিষয়গুলির প্রতি যত্ন নিয়ে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে মার্বেলের ট্র্যাক তৈরি করেন৷

অনেক বছর ধরে ইয়েলে বাকার তাঁর মার্বেলের জগত গড়ে তুলেছেন৷ অলিম্পিক বিজয়ীদের সম্মান জানানোর মঞ্চ গড়ে তুলতে তাঁর বেশ কয়েক দিন সময় লেগেছে৷ দর্শকদের উল্লাস নিয়ে অ্যাথলিটদের ভাবতে হয় না৷

দুই ভাই যখন বাগানে মার্বেল নিয়ে খেলা করতেন, তখন তাঁরা ভাবতেই পারেন নি যে ইন্টারনেটে তাঁদের ভিডিও এত ক্লিক পাবে৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ডিয়ন বলেন, ‘‘আমার মনে আছে, তুই ২০০৬ সালে ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেছিলিস৷ ইয়েলে আমাকে বলেছিল, মার্বেলের প্রতিযোগিতা তৈরি করে সেগুলির ভিডিও তুলে আমি বিশ্বকে দেখাতে চাই৷ আমি ভাবলাম, বেশ মজার হবে৷ এক বছর পর  মাত্র কয়েকশো গ্রাহক হয়েছিল৷’’

বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি গ্রাহক সেই চ্যানেল দেখেন৷ করোনা সংকটের সময় সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল৷ মার্বেলের ভিডিও ভাইরাল হয়ে উঠেছিল৷ খেলাধুলার অনুরাগীরা লকডাউনের মাঝে গাড়ির রেস বা সাঁতার প্রতিযোগিতার অভাবে নেদারল্যান্ডসের মার্বেল দৌড় দেখেছেন৷ ডিয়ন বাকার বলেন, ‘‘মার্বেল কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত৷ তাদের সামাজিক ব্যবধান ও মাস্কের প্রয়োজন পড়ে না৷’’

ইয়েলে ও ডিয়ন বাকারের সময় ভালোই যাচ্ছে৷ ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করে রয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে তাঁদের সৃজনশীলতা ছাড়া অন্য কোনো সীমা নেই৷

রোজি বিরশার্ড/এসবি